নিউজিল্যান্ডে বাড়ি কিনতে পারবে না বিদেশিরা। কারণ বিদেশি নাগরিকদের বাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত ‘ওভারসিজ ইনভেস্টমেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল’ ৬৩-৫৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে দেশটির সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি থাকায় অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকেরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছে।
ওভারসিজ ইনভেস্টমেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুসারে, অনাবাসী বিদেশিরা বেশির ভাগ বাড়ি কিনতে পারবেন না। কিন্তু নতুন অ্যাপার্টমেন্টে তারা সীমিত পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আবাসিক বিদেশিদের ওপর এর প্রভাব পড়বে না।
নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী ডেভিড পার্কার এই বিলকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, সরকার চায় সম্পদশালী বিদেশি ক্রেতাদের জন্য নিউজিল্যান্ডবাসীরা যেন কোণঠাসা না হয়ে পড়ে। এটা নিশ্চিত করবে যে নিউজিল্যান্ডের মনোরম হ্রদের তীর, সাগরমুখী জমি এবং উপশহরের বাড়ি বিদেশিদের জন্য নয়।
তবে সরকার বিরোধীরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অপ্রয়োজনীয়। বিরোধী দল নিউজিল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির সংসদ সদস্য জুডিথ কলিন্স বলেন, আমরা মনে করি না যে এতে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা বাড়ি ক্রয়ক্ষমতা সংকট মোকাবেলা করছে। কারণ বাড়ির মালিকানা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। কম সুদের হার, সীমিত হাউজিং স্টক এবং অভিবাসনের কারণে এমনটা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে গত ১০ বছরে জমি বা বাড়ির দাম গড়ে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
গত বছরের নির্বাচনী প্রচারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের লেবার পার্টির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল দেশটির বড় বড় শহরে বিদেশি মালিকানা এবং আবাসন সংকট। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা নয় বছর ধরে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল ন্যাশনাল দলকে পরাজিত করে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত ‘ওভারসিজ ইনভেস্টমেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল’ ৬৩-৫৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে দেশটির সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি থাকায় অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকেরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছে।
ওভারসিজ ইনভেস্টমেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুসারে, অনাবাসী বিদেশিরা বেশির ভাগ বাড়ি কিনতে পারবেন না। কিন্তু নতুন অ্যাপার্টমেন্টে তারা সীমিত পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আবাসিক বিদেশিদের ওপর এর প্রভাব পড়বে না।
নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী ডেভিড পার্কার এই বিলকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, সরকার চায় সম্পদশালী বিদেশি ক্রেতাদের জন্য নিউজিল্যান্ডবাসীরা যেন কোণঠাসা না হয়ে পড়ে। এটা নিশ্চিত করবে যে নিউজিল্যান্ডের মনোরম হ্রদের তীর, সাগরমুখী জমি এবং উপশহরের বাড়ি বিদেশিদের জন্য নয়।
তবে সরকার বিরোধীরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অপ্রয়োজনীয়। বিরোধী দল নিউজিল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির সংসদ সদস্য জুডিথ কলিন্স বলেন, আমরা মনে করি না যে এতে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা বাড়ি ক্রয়ক্ষমতা সংকট মোকাবেলা করছে। কারণ বাড়ির মালিকানা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। কম সুদের হার, সীমিত হাউজিং স্টক এবং অভিবাসনের কারণে এমনটা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে গত ১০ বছরে জমি বা বাড়ির দাম গড়ে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
গত বছরের নির্বাচনী প্রচারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের লেবার পার্টির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল দেশটির বড় বড় শহরে বিদেশি মালিকানা এবং আবাসন সংকট। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা নয় বছর ধরে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল ন্যাশনাল দলকে পরাজিত করে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি