আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি শরণার্থীরা পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাবেন: ইমরান খান

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বিবেচনা করছে দেশটির সরকার।

১৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাজধানী করাচিতে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আড়াই লাখ মানুষ করাচিতে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এরা এই শহরে আছেন। তাদের সন্তানরাও এই শহরেই বড় হচ্ছে, কিন্তু তাদের নেই কোনো পাসপোর্টে কিংবা কোনো পরিচয়পত্র। এগুলো না থাকলে চাকরি হয় না, আর চাকরি হলেও তাদের বেতন হয় অর্ধেক।’

করাচি শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হওয়া ইমরান খান বলেন, ‘এসব শরণার্থীর জন্য শিক্ষা এবং চাকরির বাজার উন্মুক্ত করতে হবে।’

করাচির বিবিসি সংবাদদাতা জানান, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন ১৪ লাখ আফগান শরণার্থী বসবাস করছেন। তাদের ৭৪ শতাংশই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের আফগান। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন।

পাশাপাশি বার্মা থেকেও প্রচুর শরণার্থী আসেন। মহানগরীর ১০৩টি মহল্লায় বাঙালি এবং বর্মী শরণার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু নাগরিকত্ব কিংবা পরিচয়পত্রের অভাবে তাদের বেশির ভাগই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন এবং নানা ধরনের সামাজিক নিপীড়নের শিকার হন।

পাকিস্তান নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, সে দেশের ভূখণ্ডে ১৯৫১ সালের পর জন্মগ্রহণকারী যে কেউ পাকিস্তানি নাগরিকত্বের অধিকারী। কিন্তু পাকিস্তানে যারা সরকারি শরণার্থী কার্ড ব্যবহার করছেন, তারা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন না।

যেসব উর্দুভাষী শরণার্থী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়ে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি ইমরান খান।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি