আন্তর্জাতিক

উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া দুর্ঘটনায় নিহত

মিয়ানমার-চীন সীমান্তে দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে মারা গেছেন মোস্ট ওয়ান্টেড বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া। আসামের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও স্থানীয় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এমন খবর প্রকাশি হয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এই রাজ্যের একাধিক সংবাদ মাধ্যম তাদের রিপোর্টে গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করেছে।

তবে উলফার সাবেক নেতা অনুপ চেটিয়া বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন পরেশ বড়ুয়া। তবে তার মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেছেন, চীন ও মিয়ানমার সীমান্তে চীনে শহর রুইলির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পরেশ।

এদিকে আসাম পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা পল্লব ভট্টাচার্যও জঙ্গি নেতা পরেশ বড়ুয়ার গুরুতর আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে তার মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারতসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও কোনও কিছুরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

মিয়ানমার ও চীনের সীমান্ত দিয়ে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন উলফা। চীনের দিকে রুইলি শহরে তার ঘাঁটি আবার মিয়ানমারের টাগা শহরেও তার আস্তানা রয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ আগেই জানিয়েছে, রুইলি শহর থেকেই ভারত বিরোধী নাশকতার ষড়যন্ত্র করে পরেশ বড়ুয়া। যদিও চীন সরকার তাদের জমিতে এই জঙ্গি নেতার অস্তিত্ব সম্পর্কে মানতে নারাজ।

পরেশ বড়ুয়া আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম বা উলফা। পরে এই সংগঠনের কিছু নেতা অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় বসে। তবে পরেশ বড়ুয়া সশস্ত্র পথেই আসামকে ‘স্বাধীন’করার ডাক দিয়ে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালিকে হত্যার পর থেকে আসাম উত্তপ্ত। অভিযোগ উঠেছে, এই হামলায় জড়িত উলফা। তবে এই জঙ্গি সংগঠন সেই দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। এরপরই মূলত পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি