আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিদের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় এক দৈনিকের সাথে টেলিফোনে আলাপের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশি আছেন, তাদেরকে আরও সতর্ক থেকে চলাফেরার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেশে আনতে চাইলে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। যাদের মরদেহ নিয়ে আসার সামর্থ্য থাকে না, তাদের সরকার আর্থিক সহায়তা দেয়। এদের ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে সয়াহতা প্রদান করবে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস এবং নিউজিল্যান্ডের কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছে। যারা এখনও নিখোঁজ, তাদের খুঁজে পেতেও নিউজিল্যান্ডের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নিউজিল্যান্ডের মত একটা শান্তির দেশে এ ধরনের সন্ত্রাসের ঘটনা, রক্তপাত অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। উগ্র মনমানসিকতার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে একটা গণসচেতনতা সৃষ্টির আন্দোলন শুরু করার এখন সময় এসেছে। একটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুধু চরমপন্থার ফল নয়, এটা কিছু মানুষের অজ্ঞতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির ফল। এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধেই সামাজিক আন্দোলন বিশ্ব জুড়েই হওয়া জরুরি।

এর আগে সকালে ঢাকায় কর্মরত কূটনৈতিক প্রতিবেকদের সংগঠন ডিক্যাবের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নাগরিক হতাহত হয়েছেন এবং তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, নিহত হয়েছেন ড. আব্দুস সামাদ ও হোসনে আরা বেগম। প্রাথমমিকভাবে তিন জন নিহত হওয়ার খবর এসেছিল। পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহত হয়েছেন দু'জন। গুরুতর আহত দু'জন হচ্ছেন লিপি ও মুমতাসিন। হাসপাতালে আরও চিকিৎসাধীন আছেন শেখ হাসান রুবেল, শাহজাদা আক্তার এবং ওমর ফারুক। নিখোঁজ তিনজন হচ্ছেন মোজাম্মেল, জাকারিয়া ও শাওন।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঘটনার পর পরই নিউজিল্যান্ডের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশী কূটনীতিকদের দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরী হয়। বিমান বন্দর খোলার পরপরই তারা নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করেন এবং হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।