আন্তর্জাতিক

পুলিৎজার পেলেন মিয়ানমারে বন্দী দুই রয়টার্স সাংবাদিক

সাংবাদিকতায় সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজারে ভূষিত করা হয়েছে মিয়ানমারের সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগারে বন্দী রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, সোমবার নিউইয়র্কের পুলিৎজার সেন্টারে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় এই পুরস্কার। এসময় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় ইয়াঙ্গুনের ইনসাইন কারাগারে থাকা সাংবাদিক অয়া লোন এবং কিঅ সো উ'র নাম। তারা সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

২০১৭ সালে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়ে রয়টার্সের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দায়িত্বে ছিলেন ওই দুই সাংবাদিক।

মিয়ানমার সরকার কোনও ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করে বলছে, তারা ২০১৭ সালের আগস্টে পুলিশ চৌকিতে হামলা চালানো সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের পর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কোনও রকম বিচারের ভয় ছাড়াই রোহিঙ্গাদের হত্যার সময় সেনাবাহিনী নারীদের ধরসন ও শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে দিচ্ছিল। এই নৃশংসতার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপরেও চড়াও হয় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

অয়া লোন এবং কিঅ সো বলেন, তথ্য সূত্র সেজে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের ফাঁসিয়েছেন। একটি রেস্তরাঁয় তাদের গোপন বৈঠকে ডেকে নিয়ে ছদ্মবেশী পুলিশ অফিসাররা তাদেরকে কিছু নথিপত্র দেন।

পরে পুলিশ দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে তাদের সঙ্গে থাকা বিশেষ গোপনীয় দলিল জব্দ করে।

মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে এখন তাদের চূড়ান্ত আপিলের শুনানি চলছে।

পুলিৎজার প্রশাসক ডানা কানেডি জানান, ওই দুই সাংবাদিককে পুরস্কার জয়ী অভিজাত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

'মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে উৎখাত এবং হত্যার জন্য দায়ী সামরিক দল এবং বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের কথা সাহসী এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করায় তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে,' বলেন কানেডি।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি