আন্তর্জাতিক

চিঠি দিয়ে মোদীকে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন ইমরান খান

কাশ্মীর-সহ অন্যান্য সমস্যা গুলির সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, দু’দেশের মানুষের দারিদ্রের মোকাবিলা এবং উন্নয়নের স্বার্থে আলোচনায় বসাই একমাত্র রাস্তা। ইমরানের এই চিঠি নিয়ে অবশ্য নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। খবর আনন্দবাজারের

শুধু ইমরানই নয়, নতুন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। চিঠিতে কুরেশিও জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের খুব দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসা প্রয়োজন। আগামী ১৩-১৪ জুন কিরঘিজস্তানের বিশকেক-এ এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন ভারত এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে মোদী ও ইমরানের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলে কালই স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তবে কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আলোচনার টেবিলে না বসলেও দুই রাষ্ট্রনেতার একাধিক বার দেখা হবে বিশকেক-এ। হবে সৌজন্য বিনিময়ও। এই সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ইমরান ও কুরেশির চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতে ভোটের প্রচারের সময় থেকেই ইমরান বার্তা দিয়েছিলেন, মোদী এলে সেটা পাকিস্তানের পক্ষেই সুবিধাজনক। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই মোদীকে আগ বাড়িয়ে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন তিনি। সাউথ ব্লকের আধিকারিকেরাও স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, পুলওয়ামায় হামলার পর থেকে যে আলোচনা বন্ধ ছিল, তা শুরু করা প্রয়োজন। ভোট শেষ। এ বার আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে মোদী উদ্যোগী হবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে সাউথ ব্লকের একাংশ মনে করছেন, এখনই অহেতুক তাড়াহুড়ো করতে চাইবেন না মোদী। তাতে তাঁর নিজের ঘরে ভুল বার্তা যেতে পারে। তবে সূত্রের খবর, ইমরান ও কুরেশির চিঠিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশকেক-এর সম্মেলন শুরু হতে বাকি আরও দিন ছয়েক। এর মধ্যে পাকিস্তান আরও কিছু পদক্ষেপ করে কি না, সে দিকে নজর রাখছে দিল্লি।