আন্তর্জাতিক

কাঁদছে কাশ্মীর, বেরিয়ে আসছে বেদনার ছবি

ব্রিটিশ পত্রিকা মেট্রো-র এক প্রতিবেদনে জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে ক্ষতবিক্ষত এক কাশ্মীরের চিত্র ধরা পড়ছে।

ছবিগুলোতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকারের আরোপিত অচলাবস্থার কারণে জনজীবনে যে দুর্যোগ নেমে এসেছে তার চিত্র তুলে ধরা হয়েছ। অচলাবস্থার মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে কাশ্মীরিদের যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টার আকুলতাও ধরা পড়েছে ছবিতে।

সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরার পাশপাশি ওই প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়েছে যে, ২০০৮ সাল থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৬ হাজার একক অথবা গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা থেকে সেখানকার মানুষদের ওপর যে বহুদিন ধরেই দমন-পীড়ন চলছে সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

গত ৫ আগস্ট মধ্যরাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে পুরো বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। জারি করা হয় কারফিউ। কার্যত পশুর মতো খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরবাসীকে।

তবে জনজীবন স্বাভাবিক করতে শুক্রবার রাত থেকে কাশ্মীরে আংশিক চালু হয়েছে টেলি যোগাযোগ। বেশ কিছু জেলায় শুরু হয়েছে সরকারি যানবাহনের চলাচল। সোমবার থেকে সব স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দিয়েছে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দেয়া হলেও আতঙ্কে রয়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।

কেননা এরপরও স্পর্শকাতর পাঁচটি জেলায় চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ এবং মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধসহ জারি থাকবে কিছু বিধিনিষেধ।

এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণেও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।

ওদিকে, আগামী দিনগুলোতে যাতে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেজন্য বিশেষ কৌশলী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। যা চারটি স্তরে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সরকারি কর্মকর্তাদের
পর্যবেক্ষণ ও কড়াকড়ি আরোপ, ধর্মীয় নেতাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো এবং কাশ্মীরের তরুণদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিরত রাখতে পরিবারগুলোর কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ। তবে কেন্দ্রীয় সরকরের এ ধরনের উদ্যোগ পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে মারমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে আগে আক্রমণ না করার  নীতি থেকে সরে আসার ব্যাপারে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ইঙ্গিতের পাল্টা জবাবে পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, নয়াদিল্লির যেকোনো হামলার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ।