আন্তর্জাতিক

বিদেশ থেকে উইঘুর মুসলমানদের ধরে আনছে চীন


বিদেশ থেকেও উইঘুর মুসলমানদের ফিরিয়ে এনে বন্দিশিবিরে আটক রাখছে চীন। মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল শিনজিয়াং থেকে ইলিয়াসিজিয়াং রেহমান ও  তার স্ত্রী মারিনিশা আবুদুয়ানি মিশরে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। দুই বছর আগে এই দম্পতি তাদের ঘরে দ্বিতীয় সন্তান আসার প্রহর গুনছিলেন।

২০১৭ সালের জুলাইতে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ সেদেশে বসবাসরত শত শত উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। এদেরকে আটকের পর চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবিরে চীন লাখ লাখ উইঘুর মুলসমানকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছে। চীন অবশ্য দাবি করেছে, বন্দি নয় বরং, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনের জন্য এখানে তারা উইঘুরদের ‘পুনঃশিক্ষা’ বা ‘কারিগরি শিক্ষা’ দিচ্ছে।

ইলিয়াসিজিয়াং ও মারিনিশা মিশর থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে স্ত্রীকে নিয়ে ইলিয়াসিজিয়াংয়ের আর পালানো হয়নি। এর আগেই নিখোঁজ হন তিনি।

ইলিয়াসিজিয়াং যেদিন নিখোঁজ হন সেদিন প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৬ জনকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।

ইলিয়াসিজিয়াং নিখোঁজ হওয়ার পরপরই স্ত্রী মারিনিশা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। প্রায় দুই বছর ধরে স্বামীকে খুঁজছেন মারিনিশা। কোনো সন্ধান মেলেনি ইলিয়াসিজিয়াংয়ের। তবে মারিনিশার আশা একদিন তার স্বামী ফিরে আসবে, মিলন হবে পুরো পরিবারের।

মারিনিশা বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের তাদের বাবাকে প্রয়োজন। স্বামীর সঙ্গে পুর্নমিলনের আগ পর্যন্ত আমি কখনোই আশা ছাড়ব না’।