আন্তর্জাতিক

ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগো ল্যাব আবিষ্কার করছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন

বিশ্ব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো মরণঘাতি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান ডিয়াগোর একটি ল্যাব। ‘ইনোভায়ো ফার্মাসিউটিকেলস’ পেনসেলভেনিয়াতে এই কোম্পানিটির সদরদপ্তর অবস্থিত। তাদের একটি ল্যাব আছে সরেন্টো ভ্যালিতে। এই ল্যাব থেকে মহামারি কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর ভ্যাকিসিন আবিষ্কৃত হতে যাচ্ছে বলে ল্যাব সূত্রে জানা গেছে।

‘ইনোভায়ো ফার্মাসিউটিকেলস’ এর প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী পরিচালক হলেন জুনিয়র জোসেফ কিম জানন, কোম্পানিটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কার্যকর করার জন্য ডিএনএ এবং এন্টিজেন সিকুয়েন্সিং এর ব্যবহার করছে।

গত মাসের শেষের দিকে, ফক্স ৫ সর্বপ্রথম প্রকাশ করে যে কোম্পানিটি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করে। 

সান দিয়েগো ল্যাবের গবেষকরা জানিয়েছেন, মাত্র তিন ঘণ্টায় তারা করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। করোনার বিরুদ্ধে এটি ভালো কাজ করবে। ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস এখন এটি নিয়ে আরো পরীক্ষা চালাবে। প্রথমে কোনা প্রাণীর ওপর, তারপরে মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষ করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

তারা জানান, প্রাণীর ও মানুষের ওপর পরীক্ষা করার পর সফল হলে খুব শিগগিরই এই ভ্যাকসিনটি বাজারে পাওয়া যাবে। তারা আশা করছেন, এই ভ্যাকসিনটি ভালো কাজ করবে। সেই সঙ্গে তারা সফলও হবে বলে আশা করেন। এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরা ৯ জানুয়ারি করোনাভাইরাসটির জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করেছিলেন। পরে ইনোভিও এবং বিশ্বের অন্যান্য ল্যাবগুলোর গবেষকরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করেছিলেন।

এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র হচ্ছে চীন। তবে বৃহৎ রাষ্ট্রটির রয়েছে বিশাল জনগোষ্ঠী। পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ এটি। তবে এত জনসংখ্যা নিয়েও বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে সমানভাবে নিজের অবস্থানকে দাঁড় করাতে পেরেছে দেশটি। সম্প্রতি দেশটিকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস নামক একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস। এই ভাইরাসটি মূলত প্রাণীর দেহ থেকে সংক্রমিত হয়েছে এমনটাই ধারণা করেছে গবেষকরা। তবে সঠিক কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৭০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজারের অধিক।