শুক্রবারে এক বার্মিজ সামরিক আদালত মার্কিন সাংবাদিক ডেনি ফেনস্টারকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের শাস্তি দিয়েছে।
মিশিগানের বাসিন্দা ফেনস্টার ৫ মাসের বেশি সময় ধরে মায়ানমারে বন্দি অবস্থায় ছিলো। মে ২৪ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত মায়ানমারের বৃহত্তম জেল, ইনসেইন কারাগারে বন্দি অবস্থা আছেন।
শুক্রবারের শুনানিতে, তাঁর আইনজীবী, থান জা আং বলেন যে ফেনস্টারের বিরুদ্ধে বার্মিজ সামরিক বাহিনীর করা তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিসা লঙ্ঘন, অবৈধ দলের সাথে বেআইনী সম্পর্ক এবং মিয়ানমারের দণ্ডবিধির ৫০৫এ ধারায় উস্কানি, যা "ভয় সৃষ্টি" বা "মিথ্যা সংবাদ" ছড়িয়ে দেওয়া মন্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করা অপরাধ করে তোলে। ফেনস্টারকে ৫০ ডলারের সমতুল্য স্থানীয় মুদ্রায় জরিমানাও দেওয়া হয়েছিল।
অভ্যুত্থানের পর থেকে আটক প্রায় ১০০ জন সাংবাদিকের মধ্যে ফেনস্টার একজন। প্রায় ৩০ জন কারাগারে রয়েছেন।
তার আইনজীবী বলেন, এই সপ্তাহের শুরুতে দেশটির রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে তাকে দুটি নতুন ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় অভিযোগ, যা সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রতি ঘৃণা, অবমাননা বা অপ্রীতি আনার চেষ্টার জন্য সাত থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড শাস্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
অন্য অভিযোগটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৫০এ ধারায় রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত "সন্ত্রাসী" গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ করা কে অপরাধ বলে মনে করে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ফেনস্টারকে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
মায়ানমারের বর্তমান বিষয়, ব্যবসা ও রাজনীতি নিয়ে একটি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মায়ানমারের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন এই অভিযোগ আনা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। ফেনস্টারকে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তখন আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ