আন্তর্জাতিক

শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিল অস্ট্রিয়া

শরণার্থীদের জন্য নিজেদের
দরজা খুলে দেয়ার ঘোষণা
দিয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটির
সরকার বলছে, শরণার্থী ও
অভিবাসীরা সেদেশে থাকতে
পারবে বা চাইলে জার্মানিতেও
যেতে পারবে।
এই ঘোষণার পর, অভিবাসীদের
অস্ট্রিয়া সীমান্তে পৌঁছে দিতে
বাস সেবা চালু করেছে হাঙ্গেরি।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই শরণার্থী
আর অভিবাসীদের অস্ট্রিয়া
সীমান্তে পৌঁছে দিতে শুরু
করেছে হাঙ্গেরি সরকারের
তত্ত্বাবধানে বিশেষ বাসগুলো।
এর আগে মরিয়া শরণার্থীরা পুলিশের
লাইন ভেঙ্গে বেরিয়ে এসে, পায়ে
হেটেই প্রধান সড়ক ধরে অস্ট্রিয়ার
দিকে হাটতে শুরু করে। শরণার্থীদের
সবচেয়ে বড় অংশ এসেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত
সিরিয়া থেকে।
অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অস্ট্রিয়া
প্রস্তুত বলে সেদেশের সরকারের
একজন মুখপাত্র ঘোষণা দেয়ার পরপরই
হাঙ্গেরি ঘোষণা দেয় যে, তারা
শরণার্থীদের সীমান্তে পৌঁছে
দেবে।
বুদাপেস্টে রেলস্টেশনে অপেক্ষা
এবং পুলিশের সঙ্গে একটানা
কয়েকদিন মুখোমুখি অবস্থানের পরও
অস্ট্রিয়া বা জার্মানি যাবার অনুমতি
পাননি এই শরণার্থীরা। বরং
তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করানোর
চেষ্টা করছিলো কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের সকল চেষ্টা ব্যর্থ
করে দিয়ে, নিজেদের নাম নিবন্ধনের
তোয়াক্কা না করেই তারা পায়ে
হেঁটেই অস্ট্রিয়া সীমান্তের দিকে
রওয়ানা দিয়েছে।
এদের একজন বিবিসিকে বলেছেন,
সীমান্তে না পৌছা পর্যন্ত তারা
হাঁটতে থাকবেন।
এদিকে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক ও
আফগানিস্তান থেকে আসা
শরণার্থীদের মধ্য থেকে ইউরোপের
প্রত্যেক দেশকেই সর্বোচ্চ দুইলাখ
অভিবাসীকে স্থান দেয়ার জন্য
তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘের
শরণার্থী সংস্থা।
কিন্তু বাধ্যতামূলকভাবে
শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়
মধ্য ইউরোপের দেশগুলো। এসব দেশের
মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ড, চেক
রিপাবলিকান, স্লোভাকিয়া ও
হাঙ্গেরি। যদিও ওই প্রস্তাবের পক্ষে
রয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স এবং
ইউরোপীয় কমিশন। বিবিসি।