আন্তর্জাতিক

জাপানে নিরাপত্তা বিল পাস পার্লামেন্টে হাতাহাতি

জাপানি আইনপ্রণেতাদের হাতাহাতির মধ্যেই গতকাল
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বিলে অনুমোদন দিয়েছে
সংশ্লিষ্ট কমিটি। এরই মধ্যে বিলটি পার্লামেন্টের
নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। আজকের মধ্যে
সেটি উচ্চকক্ষে যাওয়ার কথা। সেখানে বিলটি পাস
হলেই জাপানের সেনাবাহিনী নিজেদের
সীমান্তের বাইরে যুদ্ধে অংশ নিতে পারবে।
বিতর্কিত নিরাপত্তা বিলের অনুমোদন ঠেকাতে
গতকাল বৃহস্পতিবার জাপানের বিরোধীদলীয়
আইনপ্রণেতারা নিরাপত্তা বিল-সংক্রান্ত কমিটি
চেয়ারম্যানের মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার
চেষ্টা চালায়, বৈঠক কক্ষের প্রবেশপথগুলোও
বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। সরকারদলীয়
পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি,
হাতাহাতিসহ নানামুখী চেষ্টা চালায়। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত সরকারদলীয় জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ
ভোটে বিলটি অনুমোদন পায়। আজ শুক্রবারের
মধ্যেই বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাঠানো
হবে। সেখানে পাস হলে বিলটি আইনে পরিণত
হবে। তেমনটা হলে জাপানের সেনাবাহিনী এখন
থেকে আত্মরক্ষার জন্য কেবল নিজ সীমান্তে
নয়, নিজেদের এবং মিত্রবাহিনীর প্রয়োজনে
দেশের বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করতে পারবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের 'সেলফ
ডিফেন্স ফোর্স' কখনো দেশের বাইরে যুদ্ধ
করেনি। বর্তমানে চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির
চেষ্টা, উত্তর কোরিয়ার নানা হুমকিমূলক কর্মকাণ্ড
এবং বিশ্বের পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে
জাপানের নীতিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি বলে
দাবি করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো
আবে। বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রেরও তাতে
জোরালো সায় আছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, জাপানে টানা পাঁচ দিনের ছুটি
শুরুর আগেই বিলটি পাস করাতে চান প্রধানমন্ত্রী
আবে। আগামীকাল শনিবার থেকে ওই ছুটি শুরু
হচ্ছে। ছুটির আগে বিলটি পাস করাতে না পারলে
বিরোধিতাকারী জনগণ সংগঠিত হয়ে আরো বড়
পরিসরে বিক্ষোভ করার সুযোগ পাবে। তাতে
বিলটি নিয়ে জটিলতা বাড়বে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের অধিকারী
শিনজো আবের দলের জনপ্রিয়তায় ভাটা
পড়েছে। আর সেটার পেছনে আছে আবের
নিরাপত্তা বিল। এই বিলের বিরোধিতাকারী কয়েক
হাজার মানুষ গত বুধবার পার্লামেন্টের সামনে
বিক্ষোভ করে। তবে রাতে ১৩ জনের
গ্রেপ্তারের পর গতকাল বিক্ষোভকারীদের
সংখ্যা কম ছিল। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।