ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবগামী
ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে শরণার্থীরা।
তাদের পাহারায় রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
সার্বিয়া ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত লাগোয়া তোভারনিক
স্টেশন থেকে গতকাল তোলা ছবি। ছবি : এএফপি
সার্বিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া প্রবেশের পর
দেশটির রাজধানী জাগরেবমুখী ট্রেন ধরছে
শরণার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশীয়
সীমান্তের তোভারনিক স্টেশনে চার হাজার
থেকে পাঁচ হাজার আশ্রয়প্রত্যাশী মানুষকে
ট্রেনের জন্য উন্মুখ অপেক্ষায় থাকতে দেখা
গেছে।
হাঙ্গেরি তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে
দেওয়ার পর অনন্যোপায় হয়ে মূলত
গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়া থেকে আগত হাজার হাজার মানুষ
সার্বিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া অভিমুখে ছুটছে।
হাঙ্গেরি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েই
ক্ষান্ত হয়নি, বুধবার দেশটিতে প্রবেশে মরিয়া
কয়েক শ শরণার্থীকে পিছু হটাতে কাঁদানে গ্যাস
ও জলকামান ব্যবহার করেছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ
'অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করে জাতিসংঘের
মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, তিনি এ ঘটনায়
'মর্মাহত' হয়েছেন।
এদিকে গ্রিস, হাঙ্গেরি ও ইতালিতে থাকা এক লাখ ২০
হাজার শরণার্থীকে ইউরোপের অন্যান্য
দেশে বণ্টন করে দেওয়ার প্রস্তাবে গতকাল
সমর্থন দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শরণার্থীর ঢলে
গভীর সংকটে পড়া ইউরোপকে টেনে
তোলার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশনের
প্রেসিডেন্ট জঁ্য ক্লুদ জাংকারের উত্থাপিত ওই
প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার ইইউ দেশগুলোর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু
কোনো ধরনের মতৈক্য ছাড়াই শেষ হয় সেটি।
এরপর গতকাল ব্রাসেলসে ইউরোপীয়
পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হয়।
সেখানে হওয়া ভোটাভুটিতে ৩৭২-১২৪ ব্যবধানে
প্রস্তাবটিকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
ভোটদানে বিরত ছিলেন ৫৪ জন। অবশ্য আগামী
মঙ্গলবার ইইউয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শরণার্থী
বণ্টনের প্রস্তাব নিয়ে আরেক দফা বৈঠকে
বসবেন। এর মধ্যে ডেনমার্ক গতকাল
জানিয়েছে, শরণার্থী বণ্টনের প্রস্তাবের অংশ
হিসেবে তারা এক হাজার শরণার্থীকে আশ্রয়
দেবে।
শরণার্থী প্রশ্নে হাঙ্গেরির কঠোর
অবস্থানের সমালোচক ইইউভুক্ত ক্রোয়েশিয়া
অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ভূখণ্ড
পেরিয়ে স্লোভেনিয়া ও অস্ট্রিয়া হয়ে পূর্ব
ইউরোপের সম্পদশালী দেশগুলোতে
যেতে দেশছাড়া অসহায় মানুষদের বাধা দেওয়া
হবে না।
অবশ্য হাঙ্গেরি একা নয়, শরণার্থীদের প্রথম
পছন্দের গন্তব্য জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ
কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ তালিকায় নতুন যুক্ত
হলো বুলগেরিয়া। দেশটি গতকাল তুরস্কের
সঙ্গে থাকা তাদের সীমান্তে এক হাজার সেনা
মোতায়েন শুরু করেছে।
তুর্কি সরকার তিন দিন ধরে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা
করা কয়েক শ শরণার্থীকে ইস্তাম্বুলে
ঠেকিয়ে রেখেছে। তাদের কোথাও যেতে
দেওয়া হচ্ছে না। মূলত তুরস্ক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ
সাগরপথ পাড়ি দিয়ে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে
ভিড়ছে সিরীয় শরণার্থীরা। এরপর মেসিডোনিয়া
ও সার্বিয়া পেরিয়ে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম
ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল তারা। তবে হাঙ্গেরি
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় বিকল্প
হিসেবে তারা ক্রোয়েশিয়ার পথ ধরেছে।
ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে শরণার্থীরা।
তাদের পাহারায় রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
সার্বিয়া ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত লাগোয়া তোভারনিক
স্টেশন থেকে গতকাল তোলা ছবি। ছবি : এএফপি
সার্বিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া প্রবেশের পর
দেশটির রাজধানী জাগরেবমুখী ট্রেন ধরছে
শরণার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশীয়
সীমান্তের তোভারনিক স্টেশনে চার হাজার
থেকে পাঁচ হাজার আশ্রয়প্রত্যাশী মানুষকে
ট্রেনের জন্য উন্মুখ অপেক্ষায় থাকতে দেখা
গেছে।
হাঙ্গেরি তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে
দেওয়ার পর অনন্যোপায় হয়ে মূলত
গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়া থেকে আগত হাজার হাজার মানুষ
সার্বিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া অভিমুখে ছুটছে।
হাঙ্গেরি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েই
ক্ষান্ত হয়নি, বুধবার দেশটিতে প্রবেশে মরিয়া
কয়েক শ শরণার্থীকে পিছু হটাতে কাঁদানে গ্যাস
ও জলকামান ব্যবহার করেছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ
'অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করে জাতিসংঘের
মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, তিনি এ ঘটনায়
'মর্মাহত' হয়েছেন।
এদিকে গ্রিস, হাঙ্গেরি ও ইতালিতে থাকা এক লাখ ২০
হাজার শরণার্থীকে ইউরোপের অন্যান্য
দেশে বণ্টন করে দেওয়ার প্রস্তাবে গতকাল
সমর্থন দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শরণার্থীর ঢলে
গভীর সংকটে পড়া ইউরোপকে টেনে
তোলার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশনের
প্রেসিডেন্ট জঁ্য ক্লুদ জাংকারের উত্থাপিত ওই
প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার ইইউ দেশগুলোর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু
কোনো ধরনের মতৈক্য ছাড়াই শেষ হয় সেটি।
এরপর গতকাল ব্রাসেলসে ইউরোপীয়
পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হয়।
সেখানে হওয়া ভোটাভুটিতে ৩৭২-১২৪ ব্যবধানে
প্রস্তাবটিকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
ভোটদানে বিরত ছিলেন ৫৪ জন। অবশ্য আগামী
মঙ্গলবার ইইউয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শরণার্থী
বণ্টনের প্রস্তাব নিয়ে আরেক দফা বৈঠকে
বসবেন। এর মধ্যে ডেনমার্ক গতকাল
জানিয়েছে, শরণার্থী বণ্টনের প্রস্তাবের অংশ
হিসেবে তারা এক হাজার শরণার্থীকে আশ্রয়
দেবে।
শরণার্থী প্রশ্নে হাঙ্গেরির কঠোর
অবস্থানের সমালোচক ইইউভুক্ত ক্রোয়েশিয়া
অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ভূখণ্ড
পেরিয়ে স্লোভেনিয়া ও অস্ট্রিয়া হয়ে পূর্ব
ইউরোপের সম্পদশালী দেশগুলোতে
যেতে দেশছাড়া অসহায় মানুষদের বাধা দেওয়া
হবে না।
অবশ্য হাঙ্গেরি একা নয়, শরণার্থীদের প্রথম
পছন্দের গন্তব্য জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ
কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ তালিকায় নতুন যুক্ত
হলো বুলগেরিয়া। দেশটি গতকাল তুরস্কের
সঙ্গে থাকা তাদের সীমান্তে এক হাজার সেনা
মোতায়েন শুরু করেছে।
তুর্কি সরকার তিন দিন ধরে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা
করা কয়েক শ শরণার্থীকে ইস্তাম্বুলে
ঠেকিয়ে রেখেছে। তাদের কোথাও যেতে
দেওয়া হচ্ছে না। মূলত তুরস্ক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ
সাগরপথ পাড়ি দিয়ে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে
ভিড়ছে সিরীয় শরণার্থীরা। এরপর মেসিডোনিয়া
ও সার্বিয়া পেরিয়ে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম
ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল তারা। তবে হাঙ্গেরি
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় বিকল্প
হিসেবে তারা ক্রোয়েশিয়ার পথ ধরেছে।