বৃটেনের ম্যানচেস্টারে ঘটে গেলো
ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। ৩০ বছর বয়সী এক
স্কুল শিক্ষিকা ১৫ বছর বয়সী এক
শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে
গর্ভবতী হয়েছেন। একবার নয়। ৫০
বারেরও বেশি তাদের মধ্যে শারীরিক
সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন মিরর। ওই স্কুলছাত্রের বয়স এখন
১৭ বছর। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ রাখার পর ওই কিশোর মুখ
খুলেছে। ম্যানচেস্টারের ক্রাম্পসল
এলাকার আব্রাহাম মস কমিউনিটি স্কুলে সহকারী
শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন
ক্যারোলিন। ওই কিশোর বলছিল,
সম্পর্কের শুরুর ৫ মাস পর্যন্ত তাদের
মধ্যে কোন যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়নি। এরপর
শারীরিক সম্পর্ক নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়।
অরক্ষিত অবস্থাতেই চলতো এ যৌন সম্পর্ক।
ফলে, ক্যারোলিনের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ছিল
সময়ের ব্যাপার। স্কুলছাত্রটি বলছিল, ওই
কয়েক মাসের মধ্যেই সহকারী শিক্ষিকার
সঙ্গে ৫০ বারেরও বেশি যৌন সম্পর্কে
জড়ায় সে। সে আরও জানায়, তারা প্রায়ই
নিজেদের মধ্যে মোবাইল মেসেজ
আদান-প্রদান করতো এবং নিয়মিত ফোনে
কথা বলতো। তাছাড়া, ফেইসবুকেও
যোগাযোগ হতো। ওই কিশোর দীর্ঘ
সময় ক্যারোলিনের বাড়িতেই কাটাতো
বলে জানায়।
ক্যারোলিন তার ২ বছর বয়সী মেয়ের
সঙ্গে ওই কিশোরকে পরিচয় করিয়ে
দিয়েছিলেন। শিশুটি তাকে ‘পিতা’ বলতে
ডাকতেও শুরু করে দেয়। ওই কিশোরের
টনক নড়লো তখনই যখন ক্যারোলিন
বললেন, তিনি সন্তান-সম্ভবা। ওই টিনএজারের
ভাষায়, এ ঘটনা আমার সারা জীবনে কলঙ্কের
দাগ এঁকে দিয়েছে। ওই কিশোর তার বড়
ভাইয়ের কাছে গোপন কথাটা বলেছিল। এক
পর্যায়ে তার মা বিষয়টি টের পান। এ পথ
থেকে সরে না আসলে, পুলিশকে
জানাবেন বলে সন্তানকে বলেন তিনি। তার মা
ঘটনাটি জেনে গেছেন, একথা ওই কিশোর
ক্যারোলিনকে জানায়। তার দাবি, এতে ক্ষিপ্ত
তাকে আঘাত করেন ক্যারোলিন। বিষয়টি
আইনের নজরে এলে, তার মেয়ের
অধিকার হারানোর শঙ্কার কথা জানান
ক্যারোলিন। নগদ ২০ হাজার পাউন্ড অর্থ নিয়ে
ওই কিশোরের বাড়িতে যান ক্যারোলিন এবং
তাকে অনুনয়-বিনয় করে তার সঙ্গে
পালানোর অনুরোধ করেন।
আব্রাহাম মস স্কুলে তার বিরুদ্ধে প্রথম এ
অভিযোগ ওঠার পর ক্যারোলিনকে
সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল স্কুল
কর্তৃপক্ষ। স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার
সিদ্ধান্ত নেন ক্যারোলিন। গত জুলাইয়ে
তাকে আদালতে তলব করা হয়। কিন্তু,
ক্যারোলিন অসুস্থ বোধ করায় আদালত
মূলতবি ঘোষণা করা হয়। এ সপ্তাহে
ক্যারোলিনকে দ- প্রদান করা হয়। তবে
দোষ স্বীকার করায় তাকে সরাসরি জেলে
পাঠানো হয়নি। একটি শিশুর সঙ্গে অবৈধ যৌন
সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ স্বীকার
করেছেন ক্যারোলিন। একই সঙ্গে যে
শিশুর শিক্ষার ভার তার ওপর ছিল, এমন এক শিশুর
সঙ্গে এহেন সম্পর্কের অভিযোগেও
দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। পূর্বের
শুনানিতে ৩টি অপরাধে ওল্ডহ্যামের
চ্যাডারটনের বাসিন্দা ক্যারোলিনকে ২
বছরের কারাদ- প্রদান করেছিল আদালত।
তবে দোষ স্বীকার করায় তাকে বিকল্প
সাজা হিসেবে ২৫০ ঘণ্টা কমিউনিটি অর্পিত
বিভিন্ন কাজ করতে হবে। জরিমানাও দিতে
হবে। একই সঙ্গে ওই কিশোরের সঙ্গে
কোনভাবে দেখা করতে পারবেন না
ক্যারোলিন। ক্যারোলিন স্বীকার
করেছেন, যেখানে টিনএজারদের শিক্ষা ও
তাদের পথ প্রদর্শনের ভার ওপর আস্থার
সঙ্গে অর্পন করা হয়েছিল, তিনি তা রক্ষা
করতে ব্যর্থ হয়েছেন।