আন্তর্জাতিক

চীনে করোনার তাণ্ডব জানুয়ারি পর্যন্ত

প্রতিদিন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে চীনে। আগামী জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাসের বিস্তার ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে রাজধানী বেইজিংসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ বেড বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শ্বাসযন্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। চীনে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের একজন শ্বাসযন্ত্র বিশেষজ্ঞ। চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের বলেও মনে করেন তিনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শীতে সংক্রমণ চূড়ায় উঠবে। অনেকেই ধারণা করছেন, আগামী বছর ১০ লাখেরও বেশি মৃত্যু হতে পারে। এখন পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ২০০, যা বৈশ্বিক হিসাবে তুলনামূলক কম হলেও দেশটিতে করোনা সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পিকিং ইউনিভার্সিটি ফাস্ট হাসপাতালের শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষজ্ঞ ওয়ং গুয়ংফা মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই দ্রুত কাজ করতে হবে। জ্বর ক্লিনিক, জরুরি ও গুরুতর চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে হবে।' ওয়াং বলেন, হাসপাতালগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইসিইউ শয্যা বাড়াতে হবে। সংক্রমণ কমে মার্চের শুরুতে জীবন স্বাভাবিক হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। ভাইরাসটি মানুষ ও অন্য প্রাণীর মধ্যে স্থানান্তরিত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতে চীনে ব্যাপক বিক্ষোভের ফলে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটি থেকে দীর্ঘদিনের করোনা বিধিনিষেধ ও লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এদিকে প্রতিবেশী চীনে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভারতজুড়ে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছে, করোনা আক্রান্ত সব রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন ক্রিসমাস ও নববর্ষের উৎসব ঘিরে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে, সে জন্যও বাড়তি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতে করোনার দুটি ভয়াবহ ঢেউ দেখা যায়। তবে এ বছর সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। সরকারি তথ্য বলছে, দেশটিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষের করোনা সংক্রমণ হচ্ছে।


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস