ভারতে আবারও ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর ৪টার দিকে বাঁকুড়ার ওন্দায় লুপ লাইনে দুটি মালগাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনায় একটি মালগাড়ির চালক আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতি বেশি থাকায় মালগাড়ির ইঞ্জিন অপরটির উপর উঠে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। দুটি মালগাড়ি মিলিয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে ১৩টি বগি। দুর্ঘটনার জেরে প্ল্যাটফর্ম এবং সিগনাল রুম কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই মালগাড়ির ব্যাপক সংঘর্ষের শব্দে ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয়দের। এরপরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করেন। স্থানীয়রাই দুই মালগাড়ির চালকদের উদ্ধার করেন। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার ফলে আদ্রা-খড়গপুর শাখায় প্রায় ১১ টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়েছ বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন। তবে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় পুনরুদ্ধারের কাজ। সকাল ১০টা থেকে আপ মেইন লাইন এবং আপ লুপ লাইনে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মণীশ কুমার বলেন, রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি মালগাড়িই খালি ছিল। আমার ধারণা সম্ভবত চালকের চোখ লেগে গিয়েছিল তাই তিনি সিগন্যাল দেখতে পাননি। চালকের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ডিআরএম। দুর্ঘটনার রেশ সাংঘাতিক হলেও তেমন কেউ আহত হননি।
রেলের আদ্রা ডিভিশন পশ্চিমবঙ্গের ৪৮টি জেলায় পরিষেবা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বর্ধমান। এর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ৩টি জেলা ধানবাদ, বোকারো এবং সিংভূম দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে। এর আগে গত ২ জুন ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে এতে প্রায় ২৭৫ জন মানুষ মারা যান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস