বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এখন মাথাব্যথার কারণ মূল্যস্ফীতি। কিন্তু একই সময়ে চীনে দেখা যাচ্ছে উল্টো অবস্থা। সেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার কমতে কমতে ঋণাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। অর্থনীতির পরিভাষায় এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ডিফ্লেশন’ বা ‘মূল্য সংকোচন’। চীনে দুই বছরের মধ্যে প্রথম এমন পরিস্থিতি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় মূল্যসূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
চাহিদার কমতির কারণে যখন পণ্য বা সেবার দাম আগের চেয়ে পড়ে যায়, তখন সেটাকে বলে ‘মূল্য সংকোচন’। মূল্যস্ফীতি হলে কোনো কিছু কিনতে বেশি দাম দেওয়া লাগে, চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের তুলনায় অর্থের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। মূল্য সংকোচন হচ্ছে তার উল্টোটা।
চীনে এমনটা ঘটার পেছনে দেশটির অর্থনীতিতে মানুষের চাহিদার মাত্রা ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকার দিকে নজর দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি চায়না সেন্টারের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট জর্জ ম্যাগনাস। তিনি বলছেন, চাহিদা কমায় দাম কমছে।
চীনে মূল্য সংকোচন দীর্ঘায়িত হলে সেটা অন্যান্য দেশের জন্য সুফল এবং কুফল দুটোই বয়ে আনতে পারে। সুফল হলো– অন্য দেশ তুলনামূলক কম দামে চীনের পণ্য কিনতে পারবে, যেটা সেসব দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। আর কুফল হলো– সেসব দেশের উৎপাদকদের হুমকিতে ফেলবে। খবর বিবিসির
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস