আন্তর্জাতিক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে চলতি বছরের একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ

বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে চলতি বছরের একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। প্রতিবেদনে পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে প্রতিবেদনটি ‘ভুল অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগের’ ভিত্তিতে তৈরি বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। এটি দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে বাস্তবতা তুলে ধরে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছে দেশটি।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, ‘নথিটি ত্রুটিপূর্ণ অনুমান এবং অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টে পাকিস্তানের বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন ছিল না।’ যেকোনো ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের হুমকি মূল্যায়ন নিয়ে চলতি বছরের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা ইউএসসিআইআরএফ। প্রতিবেদনে পাকিস্তানকে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিয়মতান্ত্রিক, চলমান ও গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে গত বছর দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা এবং জোর করে ধর্মান্তরকরণের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে পেশোয়ার মসজিদ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় একজন শিখ নাগরিকের হত্যার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালে পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি হতে থাকে। দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্লাসফেমির অভিযোগ রয়েছে। তারা জনতার সহিংসতা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের শিকার হয়েছিল।’ উপাসনালয়গুলোতে হামলা এবং অপবিত্রতার উল্লেখ করার পাশাপাশি প্রতিবেদনে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘ইতিবাচক সংস্কার’ যেমন ব্লাসফেমি আইনের সংশোধন ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ইসলামিক স্টাডিজকে বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ী পাকিস্তানি সরকারি সংস্থা ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস