আগামী ২৮ এপ্রিল কানাডার ৪৫তম ফেডারেল নির্বাচন। স্থানীয় সময় আজ রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ‘হাউজ অব কমন্স’ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন ঘোষণার জন্য গভর্নর জেনারেলকে অনুরোধ জানানো হলে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
বিধি অনুসারে, নির্বাচনের আগে প্রচারণার জন্য কমপক্ষে ৩৬ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে।
কানাডার পার্লামেন্ট ‘হাউজ অফ কমেন্সের মোট আসন সংখ্যা ৩৪৩টি। যে কোনো দলের এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। কানাডার রাজনীতিতে বা সরকার ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন এই মুহূর্তে কানাডার প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতি।
কানাডার ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাত্র ৯ দিনের জন্য মার্ক কার্নি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৮৯৬ সালে চার্লেস টাপার ছিলেন মাত্র ৬৯ দিনের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে এখন পর্যন্ত চারটি দল অংশ নিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি, পিয়েরে পয়লিয়েভ কনজারভেটিভ পার্টি, জাগমিত সিং এনডিপি পার্টি, ইভস ফ্রান্সসয়েন্স ব্লানচেট, ব্লক কুইবেক পার্টি এবং এলিজাবেথ মে অ্যান্ড জোনাথান পেডনলট যৌথভাবে গ্রিন পার্টি অফ কানাডা।
প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ও সংযুক্তির হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও শক্তিশালী ম্যান্ডেটের অঙ্গীকার করেছেন প্রত্যেক দলের নেতৃবৃন্দ।
কানাডার সর্বশেষ আসনভিত্তিক জরিপে জানা গেছে, মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে। যেখানে গতমাসেও কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কানাডার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল রাখা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে ট্যারিফ আরোপের কানাডা ও আমেরিকার যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে; তা সমাধানে এই মুহূর্তে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নিই কানাডিয়ানদের কাছে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। আর এই কারণেই দেশটির নাগরিকদের কাছে দিন দিন মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টি জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস