পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আজ মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে ভারতের একটি কোয়াডকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ভিম্বার জেলার মানাওয়ার সেক্টরে ওই কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের দাবি, কোয়াডকপ্টারটি সীমান্তের ওপার থেকে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছিল। তখনই পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সেটিকে গুলি করে নামিয়ে আনে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেন, যথা সময়ে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে ভারতের গুপ্তচরচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রমাণ।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, সীমান্তে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।
পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সংঘটিত প্রাণঘাতী হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। ২০০০ সালের পর কাশ্মীর অঞ্চলে এটিকেই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২৩ এপ্রিল, ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই পানি বণ্টন চুক্তি দুই দেশের বহু সংঘাতের মধ্যেও কার্যকর ছিল।
ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পরদিন পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। তারা ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত করার হুঁশিয়ারি দেয় এবং ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পেহেলগামে হামলায় আন্তসীমান্ত সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। অবশ্য এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেনি ভারত। আরেকদিকে, হামলায় যেকোনো ধরনের জড়িত থাকার অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস