সম্প্রতি পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর নেওয়া সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনে পাকিস্তানের কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। এর ফলে আবারও ভারতীয় ব্যবহারকারীরা পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ও দেশটির কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের ডিজিটাল কনটেন্ট দেখতে পাচ্ছেন।
বর্তমানে ভারত থেকে মাওরা হোকেন, ইউমনা জায়েদি, আহাদ রাজা মীর ও ড্যানিশ তাইমুরের মতো পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেসযোগ্য হলেও ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান ও হানিয়া আমিরের অ্যাকাউন্ট এখনো ব্লক তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি হাম টিভি, এআরওয়াই ডিজিটাল এবং হার পাল জিও’র ইউটিউব চ্যানেলগুলোও ভারতে আবার সম্প্রচারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার এবং রশিদ লতিফের ইউটিউব চ্যানেলগুলোকেও পুনরায় অ্যাক্সেসযোগ্য হিসেবে দেখা যায়। অথচ চলতি বছরের ৮ মে, ভারত সরকার একটি কঠোর নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছিল, ওটিটি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে পাকিস্তান থেকে আগত যেকোনো ধরনের সিরিজ, গান, চলচ্চিত্র, পডকাস্ট বা অন্যান্য কনটেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।
এই নির্দেশনার পেছনে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিমালা, ২০২১-এর আওতায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ এবং ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও জনশৃঙ্খলার প্রতি হুমকি’ উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আওতায় পাকিস্তানের অন্তত ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়, যার মধ্যে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলও ছিল। এমনকি শেহবাজ শরীফ, শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদির মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের চ্যানেলও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য অপ্রাপ্য করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন এক খোলা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ জানিয়ে জানায়, পাকিস্তানি শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ভারতে আবার চালু হওয়া অত্যন্ত ‘দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য’ পদক্ষেপ। চিঠিতে বলা হয়, ‘এটা শুধু ডিজিটাল কনটেন্ট নয়, বরং আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সন্ত্রাসে প্রিয়জন হারানো ভারতীয়দের অনুভূতির প্রতি সরাসরি অসম্মান।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস