আন্তর্জাতিক

টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গাজায় নতুন প্রশাসন ভাবনা

যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইকোনমিস্ট এবং বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবিত গাজা আন্তর্জাতিক ট্রানজিশনাল অথরিটি (GITA) নামে এই প্রশাসন জাতিসংঘ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সমর্থনে থাকবে। ব্লেয়ার ফিলিস্তিনিদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই শাসনব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করবেন।
এই অন্তর্বর্তী প্রশাসন পাঁচ বছরের জন্য গাজার 'সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও আইনি কর্তৃপক্ষ' হিসেবে কাজ করার জন্য জাতিসংঘের আদেশ চাইবে। ইতোমধ্যে টনি ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরিকল্পনাটি পূর্ব তিমুর এবং কসোভোতে রাষ্ট্রীয় রূপান্তরের তত্ত্বাবধানকারী আন্তর্জাতিক প্রশাসনের আদলে তৈরি করা হবে। প্রথমে তারা গাজার দক্ষিণ সীমান্তের কাছে মিশর থেকে কাজ করবে এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পরে একটি বহুজাতিক বাহিনীর সহায়তায় উপত্যকায় চলে যাবে।
ব্লেয়ারের অফিস থেকে জানা গেছে, তিনি গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করে - এমন কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন। গত আগস্ট মাসে ব্লেয়ার ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে একটি বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকেই মূলত গাজার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বৈঠক শেষে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনাকে 'অত্যন্ত বিস্তৃত' বলে বর্ণনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দ্বি-রাষ্ট্রীয় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্প এবং অন্যান্য আরব ও মুসলিম নেতারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। নিউ ইয়রর্কে এই বৈঠকের পর গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের বিষয়ে আলোচনার খবরটি এলো।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএ