আন্তর্জাতিক

তুরস্কে ৩ লাখ লোকের ‘নজিরবিহীন’ সমাবেশ

গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লাখো জনতার সমাবেশে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।

দেশটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে একই সমাবেশে বিরোধীদলের নেতাদের যোগ দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহনী। সরকারের বাইরে থাকা প্রধান দুটি বড় দলের নেতারা সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের জন্য দৃঢ় কণ্ঠে আহ্বান জানিয়েছেন।

আলজাজিরা অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলের ইয়েনিকাপি স্কয়ারে রোববার এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে প্রায় ৩ লাখ লোক অংশ নেয়। তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে এত বড় সমাবেশ বিরল।

আলজাজিরার সাংবাদিক আয়সে কারাবাত ইস্তাম্বুল থেকে জানিয়েছেন, তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই সমাবেশ সবচেয়ে বড় এবং জনবহুল।

অভ্যুত্থানবিরোধী প্রচার-প্রচারণার পক্ষে তুরস্কজুড়ে রাতভর সমাবেশ ও র‌্যালি করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে তুর্কি প্রশাসন। সামরিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রোববারের সমাবেশ ও র‌্যালিকে চূড়ান্ত পর্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইস্তাম্বুলে রোববারের এই সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গণতন্ত্র ও শহীদদের সমাবেশ’। এই সমাবেশকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল না, ছিল শুধু তুরস্কের জাতীয় পতাকা।

সমাবেশপূর্ব বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘এক জাতি, এক পতাকা, একটি মাতৃভূমি, একটি রাষ্ট্র এবং একক শক্তি হয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হব।’

সমাবেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয় পুলিশের ১৩ হাজার সদস্য। এ ছাড়া সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে নিয়োজিত আছে হেলিকপ্টার, অ্যাম্বুলেন্স এবং ৭০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা।

ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ কে পার্টি) জানিয়েছে, সারা রাত দেশজুড়ে এ ধরনের সমাবেশ হবে।


 এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি