গণজাগরণের চার বছর পর তিউনিসিয়ায় প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিদা তিউনিস পার্টির প্রার্থী বেজি সাইদ এসেবসিকে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।দেশটির প্রথম অবাধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় তিনি ৫৫.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অবশ্য তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোনসেফ মারজুকি এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন।নির্বাচনের এ ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়নি। ফলাফল সোমবার ঘোষণা দেওয়ার কথা।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটেও ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন এসেবসি।তিউনিসিয়া ১৯৫৬ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটির জনগণ এই প্রথম অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন রাষ্ট্রপ্রধান বাছাই করলেন।চার বছর আগে তিউনিসিয়ায় গণবিক্ষোভের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।আরব বসন্ত নামে পরিচিত আলোড়ন তোলা আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল এদেশে।স্থানীয় টেলিভিশনে ইসেবসি বলেন, “আমি তিউনিসিয়ার শহিদদের উদ্দেশে এই জয় উৎসর্গ করছি। আমি মারজুকিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।”৮৮ বছর বয়সী এসেবসি তিউনিসিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বেন আলী এবং দেশটির স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম নেতা হাবিব বুরগুবিয়ার অধীনে কাজ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোনসেফ মারজুকি একজন মানবাধিকারকর্মী।ইসেবসির (৮৮) জয়ের ফলে সাবেক একনায়কতন্ত্র ফিরে আসবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছে। আরব বসন্তে উৎখাত হওয়া জাইন আল আবেদিন বেন আলির আমলে বিভিন্ন পদে ছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনেও তার দল জয়ী হয়েছিল।১৯৫৬ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে এই প্রথম অবাধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলো।