সারা বিশ্বে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো থেকে বের হওয়া যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকোতে ইসরায়েলবিরোধী পক্ষপাতিত্ব আছে- এই অভিযোগ তুলে ওই সংস্থা থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়াতে পালমিরা বা আমেরিকায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বহু স্থানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ইউনেস্কো সারা বিশ্বে পরিচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্যারিসভিত্তিক ইউনেস্কে থেকে তাদের প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে নিয়ে সে জায়গায় তারা একটি 'পর্যবেক্ষণ মিশন' স্থাপন করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইউনেস্কোতে আর্থিক ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা নিয়েও তারা চিন্তিত এবং ওই সংস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন। এর আগে ইউনেস্কোর নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা বোকোভা ইউনেস্কো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে 'গভীর আক্ষেপের' বলে মন্তব্য করেছেন।
ইরিনা বোকোভা আরও বলেন, ইউনেস্কো থেকে আমেরিকার বিদায় 'জাতিসংঘ পরিবার' তথা বহুপাক্ষিকতার জন্য বিরাট এক ক্ষতি।
২০১১ সালে ইউনেস্কো ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বছর ওই সংস্থায় তাদের যে আর্থিক সহায়তা করার কথা ছিল, তা করেনি। গত বছর ইউনেস্কো জেরুজালেমের একটি ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যাতে ওই পবিত্র স্থানের সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্কের কথা একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি। তার প্রতিবাদে ইসরায়েল ইউনেস্কোর সঙ্গে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
তবে 'ফরেন পলিসি' সাময়িকী বলছে, ইউনেস্কো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পেছনে শুধু ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোই নয়, অর্থ সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যও আছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
বৃহস্পতিবার বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকোতে ইসরায়েলবিরোধী পক্ষপাতিত্ব আছে- এই অভিযোগ তুলে ওই সংস্থা থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়াতে পালমিরা বা আমেরিকায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বহু স্থানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ইউনেস্কো সারা বিশ্বে পরিচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্যারিসভিত্তিক ইউনেস্কে থেকে তাদের প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে নিয়ে সে জায়গায় তারা একটি 'পর্যবেক্ষণ মিশন' স্থাপন করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইউনেস্কোতে আর্থিক ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা নিয়েও তারা চিন্তিত এবং ওই সংস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন। এর আগে ইউনেস্কোর নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা বোকোভা ইউনেস্কো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে 'গভীর আক্ষেপের' বলে মন্তব্য করেছেন।
ইরিনা বোকোভা আরও বলেন, ইউনেস্কো থেকে আমেরিকার বিদায় 'জাতিসংঘ পরিবার' তথা বহুপাক্ষিকতার জন্য বিরাট এক ক্ষতি।
২০১১ সালে ইউনেস্কো ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বছর ওই সংস্থায় তাদের যে আর্থিক সহায়তা করার কথা ছিল, তা করেনি। গত বছর ইউনেস্কো জেরুজালেমের একটি ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যাতে ওই পবিত্র স্থানের সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্কের কথা একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি। তার প্রতিবাদে ইসরায়েল ইউনেস্কোর সঙ্গে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
তবে 'ফরেন পলিসি' সাময়িকী বলছে, ইউনেস্কো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পেছনে শুধু ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোই নয়, অর্থ সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যও আছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি