ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন ছিলেন ড্যামিয়ান গ্রিন। কিন্তু অফিস কম্পিউটারে যৌন উত্তেজক ছবি পাওয়ার যে ঘটনা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি, সেটি থেকে খোদ প্রধানমন্ত্রীও তাকে রক্ষা করতে পারলেন না। মন্ত্রীদের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গ্রিনকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হলেন টেরিজা মে।
ড্যামিয়ান গ্রিন তার অফিস কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পাওয়ার বিষয়ে 'বেঠিক এবং বিভ্রান্তিকর' তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠার পর তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
ড্যামিয়ান গ্রিনকে ঘিরে গত কিছুদিন ধরেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে জোর বিতর্ক চলছিল। ২০০৮ সালে তিনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন এবং একটি দফতরের ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, তখন পুলিশ তার একটি অফিস কম্পিউটারে পর্ণোগ্রাফি খুঁজে পেয়েছিল। এই অভিযোগটি সম্প্রতি নতুন করে সামনে এসেছিল সেসময়ের তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যের জের ধরে।
কই সঙ্গে ড্যামিয়ান গ্রিনের বিরুদ্ধে আরও কয়েকজন মহিলার সঙ্গে অনৈতিক যৌন আচরণের অভিযোগ উঠে।
বিবিসির প্রধান রাজনৈতিক সংবাদদাতা লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বরখাস্ত করা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না।
ড্যামিয়ান গ্রিন ছিলেন কার্যত ব্রিটেনের উপ প্রধানমন্ত্রী। টেরিজা মে'র সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং সিনিয়র মন্ত্রীদের একজন।
তার এই পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে আরও মিত্রহীন হয়ে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত দু’মাসে তার মন্ত্রিসভার আরও দুজন সদস্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন পদত্যাগ করেন একই ধরণের যৌন অসদাচারণের অভিযোগ উঠেছিল। আর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সহ রাজনীতিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগ মাথায় নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে যে আচরণ আশা করা হয়, ড্যামিয়ান গ্রিন তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
ড্যামিয়ান গ্রিন বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে তিনি তার অফিস কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ ছিল তিনি কনজারভেটিভ পার্টির এক নারী কর্মী এবং সাংবাদিক কেট মল্টবির সঙ্গে অসঙ্গত যৌন আচরণ করেছেন।
দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক লেখায় কেট মল্টবি অভিযোগ করেছিলেন যে ২০১৫ সালে যখন তিনি ড্যামিয়ান গ্রিনকে এক পানশালায় সাক্ষাৎ করেন, তখন মন্ত্রী তাঁর হাঁটু স্পর্শ করেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে মন্ত্রী তাকে ইঙ্গিতপূর্ণ টেক্সট মেসেজ পাঠান। এটি পেয়ে তিনি খুব বিব্রতবোধ করেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
ড্যামিয়ান গ্রিন তার অফিস কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পাওয়ার বিষয়ে 'বেঠিক এবং বিভ্রান্তিকর' তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠার পর তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
ড্যামিয়ান গ্রিনকে ঘিরে গত কিছুদিন ধরেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে জোর বিতর্ক চলছিল। ২০০৮ সালে তিনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন এবং একটি দফতরের ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, তখন পুলিশ তার একটি অফিস কম্পিউটারে পর্ণোগ্রাফি খুঁজে পেয়েছিল। এই অভিযোগটি সম্প্রতি নতুন করে সামনে এসেছিল সেসময়ের তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যের জের ধরে।
কই সঙ্গে ড্যামিয়ান গ্রিনের বিরুদ্ধে আরও কয়েকজন মহিলার সঙ্গে অনৈতিক যৌন আচরণের অভিযোগ উঠে।
বিবিসির প্রধান রাজনৈতিক সংবাদদাতা লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বরখাস্ত করা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না।
ড্যামিয়ান গ্রিন ছিলেন কার্যত ব্রিটেনের উপ প্রধানমন্ত্রী। টেরিজা মে'র সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং সিনিয়র মন্ত্রীদের একজন।
তার এই পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে আরও মিত্রহীন হয়ে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত দু’মাসে তার মন্ত্রিসভার আরও দুজন সদস্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন পদত্যাগ করেন একই ধরণের যৌন অসদাচারণের অভিযোগ উঠেছিল। আর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সহ রাজনীতিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগ মাথায় নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে যে আচরণ আশা করা হয়, ড্যামিয়ান গ্রিন তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
ড্যামিয়ান গ্রিন বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে তিনি তার অফিস কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ ছিল তিনি কনজারভেটিভ পার্টির এক নারী কর্মী এবং সাংবাদিক কেট মল্টবির সঙ্গে অসঙ্গত যৌন আচরণ করেছেন।
দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক লেখায় কেট মল্টবি অভিযোগ করেছিলেন যে ২০১৫ সালে যখন তিনি ড্যামিয়ান গ্রিনকে এক পানশালায় সাক্ষাৎ করেন, তখন মন্ত্রী তাঁর হাঁটু স্পর্শ করেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে মন্ত্রী তাকে ইঙ্গিতপূর্ণ টেক্সট মেসেজ পাঠান। এটি পেয়ে তিনি খুব বিব্রতবোধ করেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি