এ বছর হজে খরচ বৃদ্ধির আশংকা দেখা দিয়েছে। রাজকীয় সৌদি সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করায় এ আশংকা দেখা দিয়েছে।
ভ্যাট আরোপের কারণে আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের উপর এর প্রভাব পড়বে।
তবে রাজকীয় সৌদি সরকার আরোপিত ভ্যাটের প্রভাব হজযাত্রীদের উপর না পড়ে সে বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি সে দেশের নাগরিকদের ওপর পাঁচ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে। তা হজযাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে চায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন বাংলাদেশী হজযাত্রীরা এ ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবের মক্কায় এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, এবার বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে, সরকারিভাবে সাত হাজার ১৯৮ জন আর বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার জন।
গতবারও একই সংখ্যক মুসল্লি হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এবারের হজযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমান অর্ধেক অর্ধেক ভাগাভাগি করে পরিবহন করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সৌদি সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি। তারা বিবেচনা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
পানিপথে জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলেও সৌদি আরব এ প্রস্তাব অনুমোদন করেনি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর ভারত থেকে ৫-৭ হাজার হজযাত্রী জাহাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন। জাহাজে করে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এটা জানার পর আমরাও জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সৌদি সরকার তা অনুমোদন করেনি। কারণ মুম্বাই থেকে জাহাজে করে সৌদি যেতে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ দিন। কিন্তু বাংলাদেশের সময় লাগবে ১৭-১৮ দিন। খরচ কমানোর জন্যই এ আবেদন করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৪৫টি হজ এজেন্সি অনিয়ম করেছে, যাদের মাধ্যমে হজে গিয়ে বাংলাদেশীরা ফিরে আসেননি, চুক্তি অনুযায়ী সেবা দেয়নি এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তকাজ শেষ হলেই সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এবারের হজের জন্য এরই মধ্যে মুসল্লিরা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ জন। এটা বাছাই করার পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা থাকলেও এখনো হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় ১০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে। এরপর প্রায় এক মাস ধরে চলবে রেজ্রিস্ট্রেশন।
সংবাদ সম্মেলন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমান, সিনিয়র তথ্য কমকর্তা আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
ভ্যাট আরোপের কারণে আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের উপর এর প্রভাব পড়বে।
তবে রাজকীয় সৌদি সরকার আরোপিত ভ্যাটের প্রভাব হজযাত্রীদের উপর না পড়ে সে বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি সে দেশের নাগরিকদের ওপর পাঁচ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে। তা হজযাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে চায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন বাংলাদেশী হজযাত্রীরা এ ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবের মক্কায় এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, এবার বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে, সরকারিভাবে সাত হাজার ১৯৮ জন আর বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার জন।
গতবারও একই সংখ্যক মুসল্লি হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এবারের হজযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমান অর্ধেক অর্ধেক ভাগাভাগি করে পরিবহন করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সৌদি সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি। তারা বিবেচনা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
পানিপথে জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলেও সৌদি আরব এ প্রস্তাব অনুমোদন করেনি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর ভারত থেকে ৫-৭ হাজার হজযাত্রী জাহাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন। জাহাজে করে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এটা জানার পর আমরাও জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সৌদি সরকার তা অনুমোদন করেনি। কারণ মুম্বাই থেকে জাহাজে করে সৌদি যেতে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ দিন। কিন্তু বাংলাদেশের সময় লাগবে ১৭-১৮ দিন। খরচ কমানোর জন্যই এ আবেদন করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৪৫টি হজ এজেন্সি অনিয়ম করেছে, যাদের মাধ্যমে হজে গিয়ে বাংলাদেশীরা ফিরে আসেননি, চুক্তি অনুযায়ী সেবা দেয়নি এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তকাজ শেষ হলেই সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এবারের হজের জন্য এরই মধ্যে মুসল্লিরা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ জন। এটা বাছাই করার পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা থাকলেও এখনো হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় ১০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে। এরপর প্রায় এক মাস ধরে চলবে রেজ্রিস্ট্রেশন।
সংবাদ সম্মেলন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমান, সিনিয়র তথ্য কমকর্তা আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি