আন্তর্জাতিক

চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির একটি যুদ্ধজাহাজ আগামী মাসে দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্য দিয়ে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন। ওই অঞ্চল দিয়ে যে তাদের নৌযান চালানোর অধিকার রয়েছে, তা জানান দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানান তিনি।

ব্রিটেনের কর্মকর্তারা আরও ছয়মাস আগে এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন। ওই সমুদ্র অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে চীন এবং সাগরের মাঝে দ্বীপে সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে দেশটি।

ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি যুদ্ধজাহাজ পাঠালে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।

দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উইলিয়ামসন বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস সাদারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের পর দক্ষিণ চীন সাগরে যাবে।

তিনি বলেন, ‘ফেরার পথে জাহাজটি দক্ষিন চীন সাগরের মধ্য দিয়ে আসবে। আমাদের নেভির যে ওই পথ ব্যবহারের অধিকার আছে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতেই এই কাজ করব।’

তবে বিতর্কিত কোনো জলসীমার ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজটি আসবে কিনা তা জানাতে পারেনি পত্রিকাটি।

আগে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতের অধিকার জানান দিতে দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। এরপর বেইজিং ওই পথ ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, তারা ব্রিটিশ নেভির সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত আছেন।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সব দেশেরই দক্ষিন চীন সাগরে নৌযান ও তার উপর দিয়ে বিমান চালানোর অধিকার রয়েছে। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। দক্ষিণ চীন সাগর পরিস্থিতিরও ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। আমরা আশা করব সংশ্লিষ্ট সব দেশ, বিশেষ করে ওই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলো আঞ্চলিক দেশগুলোর উদ্যোগকে সম্মান দেখাবে।’

সাক্ষাৎকারে উইলিয়ামসন অস্ট্রেলিয়াকেও বিতর্কিত অঞ্চলে তাদের কর্মকাণ্ড আরও বাড়াতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, অন্যান্য দেশ আরও বেশি কিছু করবে। এটা যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরও বেশি কিছু করার, নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ।’

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ চীন সাগরে পর্যবেক্ষণমূলক কিছু ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, কিন্তু নৌ চলাচলের অধিকার জানান দিতে কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি।

বেইজিং কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সেখান দিয়ে অবাধ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে। এর মধ্যেই সেখানকার বিভিন্ন দ্বীপে সামরিক স্থাপনা তৈরি করায় আন্তর্জাতিক মহল চীনের সমালোচনা করে।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি