আন্তর্জাতিক

ময়নাতদন্তে পরিচয় মিলেছে মাত্র ৮ জনের

নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির চিকিৎসকরা। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট প্রধান ড. প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে, তবে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে মাত্র আটজনের।

প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘আমরা মাত্র আটজের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি মরদেহ ঝলসে যাওয়ার কারণে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’ তবে এখনও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

চিকিৎসকরা তাদের আঙুল, কানের দুল, অলঙ্কার কিংবা চোয়ালের আকৃতির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করবেন। ডা. প্রমোদ বলেন, ‘যদি কোনোভাবেই আমরা সনাক্ত করতে না পারি তবে আমরা ডিএনএ পরীক্ষা করবো।’

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রী ও পাইলটের টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন। ডা. প্রমোদ বলেন, যেকোনও বিমান দুর্ঘটনার পরে এই টক্সিলোজি পরীক্ষা করা হয়। এতে করে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।

এছাড়া কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন কি না সেটাও জানা সম্ভব হবে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। কেউ মদ্যপ ছিলেন কি না বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না সেটা পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা।

সোমবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও দুইজন শিশু।

এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ঘটনায় আহতদের মধ্যে সাত বাংলাদেশিকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ছয় জনও যে কোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি