যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা বৈশ্বিক বাণিজ্য যে প্রক্রিয়ার মধ্যে সংঘটিত হয়, সেটি ব্যাহত হবে। যার প্রভাব সমগ্র বিশ্বে পড়বে বলেও মনে করেন তারা।
এই প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর একটি নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দর কষাকষির ওপর পড়বে। ডব্লিউটিও-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ওপরও এর প্রভাব আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের শুল্ক বৃদ্ধি কোনও একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য না হয়ে সাধারণভাবে ‘মোস্ট ফেবারড ন্যাশন’ মর্যাদার সব দেশের ওপর বর্তায়। এর ফলে বাংলাদেশ রফতানি করে এমন কোনও পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ালে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।।
উদাহরণ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চীন থেকে তৈরি কাপড় আমদানি কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বৃদ্ধি করে, তবে এটি বাংলাদেশের তৈরি কাপড়ের ওপরও প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ শুল্কবৃদ্ধির এই গোটা প্রক্রিয়ায় কে লাভবান হবে, কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যেসব উৎপাদনকারী আছেন, তারা লাভবান হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা ও বিদেশি রফতানিকারকরা।’
সম্প্রতি স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশ হারে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বৃদ্ধি বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এটি গায়ের জোরে করেছে। রফতানিকারকরা এখন ডব্লিউটিও-তে এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মামলা করা নিয়েও সমস্যা তৈরি করছে। কারণ, এই মামলা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল গঠনে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বাড়ায়, তাহলে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এটি ট্রেডওয়ারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এই পুরো ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ দেশটির ভোক্তাকে তখন বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে।’
বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে এই কূটনীতিক বলেন, ‘এর ফলে আমাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে বা কী মাত্রায় পড়বে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। বাংলাদেশের উচিত হবে গোটা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে বা সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে, চীনের ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন শুল্ক ঘোষণা করতে পারে। চীন ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে।
এরআগে গত বুধবার বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়া নিয়ে এক সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আচরণ নির্ধারণ করা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।’
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
এই প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর একটি নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দর কষাকষির ওপর পড়বে। ডব্লিউটিও-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ওপরও এর প্রভাব আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের শুল্ক বৃদ্ধি কোনও একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য না হয়ে সাধারণভাবে ‘মোস্ট ফেবারড ন্যাশন’ মর্যাদার সব দেশের ওপর বর্তায়। এর ফলে বাংলাদেশ রফতানি করে এমন কোনও পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ালে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।।
উদাহরণ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চীন থেকে তৈরি কাপড় আমদানি কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বৃদ্ধি করে, তবে এটি বাংলাদেশের তৈরি কাপড়ের ওপরও প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ শুল্কবৃদ্ধির এই গোটা প্রক্রিয়ায় কে লাভবান হবে, কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যেসব উৎপাদনকারী আছেন, তারা লাভবান হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা ও বিদেশি রফতানিকারকরা।’
সম্প্রতি স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশ হারে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বৃদ্ধি বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এটি গায়ের জোরে করেছে। রফতানিকারকরা এখন ডব্লিউটিও-তে এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মামলা করা নিয়েও সমস্যা তৈরি করছে। কারণ, এই মামলা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল গঠনে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বাড়ায়, তাহলে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এটি ট্রেডওয়ারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এই পুরো ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ দেশটির ভোক্তাকে তখন বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে।’
বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে এই কূটনীতিক বলেন, ‘এর ফলে আমাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে বা কী মাত্রায় পড়বে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। বাংলাদেশের উচিত হবে গোটা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে বা সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে, চীনের ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন শুল্ক ঘোষণা করতে পারে। চীন ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে।
এরআগে গত বুধবার বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়া নিয়ে এক সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আচরণ নির্ধারণ করা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।’
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি