আন্তর্জাতিক

জামায়াত যোগের অভিযোগ আনলে আইনি ব্যবস্থা: কার্লাইল

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই জানিয়ে এই অভিযোগ আনলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্স কারলাইল।

এক বিবৃতিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী তাকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে অসত্য ও মানহানিকরও বলেছেন কার্লাইল।

গত ২০ মার্চ কার্লাইলকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেযার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপরই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কার্লাইলের অবস্থান সামনে আসে। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে সোচ্চার ছিলেন তিনি।

তিনি এই বিচারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে নানা সভা, সেমিনার এবং ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে দূতিয়ালির চেষ্টা করেছেন।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার’ জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি জানান লর্ড কার্লাইল। জেনেভাস্থ ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস-এর হাই কমিশনার নাভী পিল্লাই বরাবর লিখিত এক চিঠিতে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপও চেয়েছিলেন লর্ড কার্লাইল।

আলবদর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর না করার দাবিতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে চিঠিও লিখেছিলেন ব্রিটিশ এই আইনজীবী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতকের লবিস্ট ছিল যে, সেই আইনজীবীকে ঢাকায় আনছে খালেদা জিয়ার দল।’

এর জবাবে কার্লাইল পাল্টা বিবৃতিতে বলেন,  ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও তিনি জামায়াতের লবিস্ট ছিলেন না বলে জানান কার্লাইল। বলেন, ‘আমি জামায়াতের একজন আইনজীবী ও লবিস্ট হিসেবে কাজ করছি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা অসত্য এবং মামলা হওয়ার মত একটি বিষয়।’

কার্লাইল বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পেশাগত জায়গা থেকে। আর হাউজ অব লর্ডসে সদস্যপদের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।

বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধিতা নিয়েও একটি ব্যাখ্যা নিয়েছেন কার্লাইল। বলেন, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকছে কি না- সে বিষয়ে একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবী হিসেবে আমি আমার মতামত সেখানে দিয়েছি ।’

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি