আন্তর্জাতিক

কারাগারে যেতে হচ্ছে ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুলাকে

দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত লুলা আপিল চলাকালীন মুক্ত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে আদালত।

৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বর্তমানে লুলা ডা সিলভা মুক্ত আছেন। তার গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত হলেই কারাবন্দী হবেন তিনি।

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে লুলার ১২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। লুলা দাবি করেছেন, অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে তাকে সরিয়ে রাখতেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তার ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়, এই রায় ব্রাজিল এবং গণতন্ত্রের জন্য মর্মান্তিক এক ঘটনা।

২০০৩ থেকে ২০১১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুলা। এই আট বছরে অর্থনীতিক উন্নতির মুখ দেখে ব্রাজিল। দারিদ্র থেকে অগণিত মানুষকে মুক্ত করার ফলে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে লুলা সরকার।

মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পরেও ব্রাজিলের অনেক নাগরিকের মাঝে তিনি জনপ্রিয়। রায়ের প্রতিবাদে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করছে। অন্যদিকে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে লুলার গ্রেফতার দাবি করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নামে।

এই রায়টি ব্রাজিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবার কারণ, ইতোপূর্বে সর্বশেষ আপিল না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তরা মুক্ত থাকার সুযোগ পেত। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের এক রায় বিবেচনা করছিল, যেখানে বলা হয় প্রথম আপিল ব্যর্থ হবার পর অভিযুক্তকে কারাবন্দী করা যাবে।

লুলার প্রথম আপিল যে শুধু ব্যর্থ হয় তাই নয়, বরং এতে তার সাজা ৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়।

যে মামলায় লুলাকে সাজা দেওয়া হচ্ছে, তার নাম হলো অপারেশন কার ওয়াশ। এতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়।

২০১৪ সালে লুলা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে গেলে কার ওয়াশ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসের থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই তদন্তেই বিশাল এক দুর্নীতির জাল প্রকাশিত হয়।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি