আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিকল্প ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

দৌমায় কথিত রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ‘সব বিকল্প টেবিলে আছে’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্সের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সামরিক হামলা চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়া ও সিরিয়াকে দায়ী বলে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়া ইস্যুতে কর্মপন্থা নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। একই ইস্যুতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

শনিবার গৌতায় কর্মরত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জানিয়েছে, পূর্ব গৌতায় সরকারি বাহিনীর ভয়াবহ রাসায়নিক হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে এ খবর কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিরিয়ার সরকার অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘নিষ্পত্তি করার মতো অনেকগুলো বিকল্প প্রেসিডেন্টের কাছে আছে, টেবিলেও অনেক বিকল্প রয়েছে। আমরা এখনও কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করিনি।’

এর আগে বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছিলেন,‘সিরিয়াকে লক্ষ্য করে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। প্রস্তুত থাক রাশিয়া। কারণ তার আসছে সুন্দর, নতুন ও চটপটে! গ্যাস দিয়ে হত্যাকারী যেই পশু তার লোকদের হত্যা করে ও তা উপভোগ করে তার অংশীদার হওয়া তোমার উচিৎ নয়।’


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি