ভারতের ইমারতে শরীয়া ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের যৌথ আহ্বানে পাটনার গান্ধী ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্বীন বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ শীর্ষক এক মহা সম্মেলন। রোববারের এই সমাবেশ কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আয়োজকদের দাবি, কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে মাওলানা উমরান মাহফুজ রহমানি বলেন, আরারিয়া, ফুলপুর ও গোরক্ষপুরের জনতা কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে। তিনি কওমের দুর্বল শ্রেণির মানুষজনকে রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মাওলানা আবু তালিব রহমানি বলেন, পাঁচ লাখ মুসলিম নারী স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তিন তালাক বিল এনে সমস্ত সমস্যার সমাধান করার দাবি জানানো হচ্ছে। আমাদের দ্বীন ও দেশ উভয়কেই বাঁচাতে হবে।
মহাসমাবেশের উদ্বোধন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা ওয়ালি রহমানি বলেন, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মানুষজনকে সচেতন করা।
ইমারতে শরীয়ার নাজিম আনিসুর রহমান কাসেমি বলেন, এটি একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজনীতির সঙ্গে এটিকে মিশিয়ে দেখা উচিত নয়।
মাওলানা আবু তালিব রহমানি তার ভাষণে বলেন, যখনই ডোকলাম থেকে শুরু করে অন্য কোনো সীমান্তে সেনাবাহিনীর তরুণদের প্রয়োজন হবে, সরকার কেবল একবার আমাদের বলুক। আমরা আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসা থেকে বের করে এনে কাফন পরিয়ে সেনাবাহিনীতে প্রদান করবো। দেশের মুসলিমরা ক্ষুধার্ত থাকতে পারে কিন্তু দেশ নিয়ে কখনো বাণিজ্য করতে পারবে না। আমরা দেশকে রক্ষা করবো প্রয়োজনে পাকিস্তানকেও আঘাত করবো। আমাদের একটি রিজার্ভ ফোর্স আছে তারা হলেন আমাদের নারীরা। প্রয়োজনে তারাও উঠে দাঁড়াবে।
সমাবেশে মুসলিম নেতারা অভিযোগ করেন- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুসলিমদের শরীয়া নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। শরীয়ায় হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার তারা নিন্দা জানাচ্ছেন।
তাদের দাবি, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করুক। উন্মত্ত জনতা ও কিছু বেপরোয়া নেতাদের বিবৃতির মাধ্যমে দেশের মুসলিম ও দলিতদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের দাবি, সমাজে সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হজরত মাওলানা সৈয়দ কালবে জাব্বাদ, সাবেক রাজ্যসভা সাংসদ ও ল’ বোর্ড সদস্য হজরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খান আজমী, ল’ বোর্ড মুখপাত্র মাওলানা খলীলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানী, জমিয়তে আহলে হাদীসের আমির হজরত মাওলানা আসগার ইমাম মেহদী সালাফি, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের হজরত মাওলানা রফীকী কাসেমী, কলকাতা ল’ বোর্ড সদস্য আবু তালিব রহমানী ও বামসেফ অধ্যক্ষ বামন মেশ্রাম প্রমুখ।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
আয়োজকদের দাবি, কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে মাওলানা উমরান মাহফুজ রহমানি বলেন, আরারিয়া, ফুলপুর ও গোরক্ষপুরের জনতা কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে। তিনি কওমের দুর্বল শ্রেণির মানুষজনকে রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মাওলানা আবু তালিব রহমানি বলেন, পাঁচ লাখ মুসলিম নারী স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তিন তালাক বিল এনে সমস্ত সমস্যার সমাধান করার দাবি জানানো হচ্ছে। আমাদের দ্বীন ও দেশ উভয়কেই বাঁচাতে হবে।
মহাসমাবেশের উদ্বোধন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা ওয়ালি রহমানি বলেন, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মানুষজনকে সচেতন করা।
ইমারতে শরীয়ার নাজিম আনিসুর রহমান কাসেমি বলেন, এটি একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজনীতির সঙ্গে এটিকে মিশিয়ে দেখা উচিত নয়।
মাওলানা আবু তালিব রহমানি তার ভাষণে বলেন, যখনই ডোকলাম থেকে শুরু করে অন্য কোনো সীমান্তে সেনাবাহিনীর তরুণদের প্রয়োজন হবে, সরকার কেবল একবার আমাদের বলুক। আমরা আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসা থেকে বের করে এনে কাফন পরিয়ে সেনাবাহিনীতে প্রদান করবো। দেশের মুসলিমরা ক্ষুধার্ত থাকতে পারে কিন্তু দেশ নিয়ে কখনো বাণিজ্য করতে পারবে না। আমরা দেশকে রক্ষা করবো প্রয়োজনে পাকিস্তানকেও আঘাত করবো। আমাদের একটি রিজার্ভ ফোর্স আছে তারা হলেন আমাদের নারীরা। প্রয়োজনে তারাও উঠে দাঁড়াবে।
সমাবেশে মুসলিম নেতারা অভিযোগ করেন- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুসলিমদের শরীয়া নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। শরীয়ায় হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার তারা নিন্দা জানাচ্ছেন।
তাদের দাবি, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করুক। উন্মত্ত জনতা ও কিছু বেপরোয়া নেতাদের বিবৃতির মাধ্যমে দেশের মুসলিম ও দলিতদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের দাবি, সমাজে সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হজরত মাওলানা সৈয়দ কালবে জাব্বাদ, সাবেক রাজ্যসভা সাংসদ ও ল’ বোর্ড সদস্য হজরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খান আজমী, ল’ বোর্ড মুখপাত্র মাওলানা খলীলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানী, জমিয়তে আহলে হাদীসের আমির হজরত মাওলানা আসগার ইমাম মেহদী সালাফি, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের হজরত মাওলানা রফীকী কাসেমী, কলকাতা ল’ বোর্ড সদস্য আবু তালিব রহমানী ও বামসেফ অধ্যক্ষ বামন মেশ্রাম প্রমুখ।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি