নানাভাবে খাবারের গুণমান পরীক্ষা করা যায়। খাবার যদি অপরিচ্ছন্ন হয়, জীবাণু সংক্রমিত হয় তাহলে তা থেকে টাইফয়েড, কলেরার মতো ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ হতে পারে। কখন কখনও তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী সংক্রমণ থেকে খাবার নিরাপদ রাখতে কিছু ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. খাবারে সংক্রমণ এড়াতে রান্না করার আগে, খাবার ধরার আগে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে হবে। রান্না করার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২.ঠিক তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। অল্প আঁচে কোনওমতে রান্না করলে হবে না। ঠিকমতো সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।
৩. খাবার রাখার জায়গা যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেখানে যাতে আরশোলা, ইঁদুর বা কোনওরকম পোকামাকড়ে উপদ্রব না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবারে বা প্যাকেটজাত খাবারে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওই তারিখ পেরিয়ে গেলে সেই খাবার ব্যবহার করা যাবে না।
৫. অনেকসময় খাবার বেঁচে যায়। সেটা ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে। গরমের দিনে অনেকসময় সামান্য সময়ের মধ্যে সেই খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এটা খেয়াল রাখতে হবে। এমন হলে সেই খাবার খাওয়া যাবে না।
৬. কাঁচা খাবার ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখতে হবে। কাঁচা মাংস, কাঁচা মাছ, তরকারি বা সামুদ্রিক খাবার রান্না করা খাবারের থেকে আলাদা করে রাখা প্রয়োজন। বাইরে থেকে আনা কাঁচা খাবার না ধুয়ে ফ্রিজে বা খাবারের তাকে রাখবেন না। এতে ফ্রিজে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস