লন্ডন

বিএনপির বিক্ষোভে যেভাবে লন্ডনে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী

বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে চারটার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় যুক্তরাজ্য বিএনপির  ও কালো পতাকা প্রদর্শনের মধ্যেই উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী জানান, হিথ্রো বিমান বন্দরে প্রথমে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডনে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবদুল হান্নান। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা।

পরে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান।

লন্ডন যাত্রাকালে প্রধানমন্ত্রী যাত্রী লাউঞ্জে যান এবং যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের ভালো-মন্দের খোঁজ খবর নেন।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত স্থল সীমান্ত চুক্তি পাশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আগামী ১৪ জুন যুক্তরাজ্য বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও এই ৬ দিনের সফরে থাকাকালীন লন্ডনে অবস্থানকালে বোন শেখ রেহেনা এবং ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন বলে জানা গেছে ।

আগামী ১৮ জুন সকালে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।

এদিকে লন্ডন ভিত্তিক বাংলা অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলোর খবরে বলা হয়- ছয় দিনের যুক্তরাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা  শুক্রবার দুপুর ৩.৪৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। 


বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ হান্নান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারন সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, সহ-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও তরুণ লীগের নেতাকর্মীরা।

 অন্যদিকে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফর প্রতিহত ঘোষণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীর বহর বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাত্রা পথে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক এম কয়ছর আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এ সময় মাথায় কালো কাপড় বাঁধা বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল নানা দাবি সম্বলিত রঙবেরঙগের ব্যানার-ফ্যাষ্টুন ও প্ল্যাকার্ড।