লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসের বুকে চোখ ধাঁধানো বাংলাদেশ ডে প্যারেড

গত ২৯ শে মার্চ ২০১৫ শেষ হল বাংলাদেশ ডে প্যারেড ও ফেস্টিভ্যাল । স্মরণ কালের ইতিহাসে
সবচেয়ে বড় আকারের বাংলাদেশ ডে প্যারেড দেখলো লস এঞ্জেলেস বাসী । এটি বাফলা'র ৯ম
বাংলাদেশ ডে প্যারেড ও ফেস্টিভাল । উদ্ভোধন হয় গত ২৮শে মার্চ ২০১৫ তারিখে।  মূল বাংলাদেশ
ডে প্যারেড শুরু হয় ২৯ শে মার্চ বিকাল ২.৩০ মিনিটে । ব্যাপক পরিমান সাধারণ বাংলাদেশী এতে
অংশগ্রহণ করে। সবাই বাহারি ও বিচিত্র রঙের পোশাক পরেছিল ।

অনেকের হাতে বিভিন্ন লেখা ও ছবি সম্বলিত ব্যানার , বড়বড় সাইজের বাংলাদেশ ও আমেরিকার পাতাকা ছিল।  এ সময় ব্যাস্ততম সড়ক ভার্মন্ড ও থার্ড ষ্ট্রিট বন্ধ থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করেই
প্যারেড সাজানো হয়। বিশেষ সংকলন প্রকাশ করা হয় । অনেক বড় আকারের জাতীয় পতাকা,
ঢোল, ঘোড়ার গাড়ি,রঙিনরূপে সাজানো তিনটি ফ্লোট, ব্যান্ড পার্টি ইত্যাদি ছাড়াও অংশগ্রহণকারি
বিভিন্ন সংগঠনের নিজস্ব স্বকীয় আয়োজন ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রায় ২২টির উপর সংগঠন নিয়ে প্যারেড
করলো বাংলাদেশ ইউনিটি ফেডারেশন অব লস এঞ্জেলেস (বাফলা)। ঢোলক বাজিয়ে প্যারেডের যাত্রা
শুরু হয়। বিশেষ করে, উড়োজাহাজের মাধ্যমে আকাশের বুকে বাংলাদেশ ডে কে স্বাগত জানানো
ছিল চমকে দেবার মত। বাংলাদেশ ডে প্যারেড ২০১৫, ফেন্ডস ক্লাব অব লস এঞ্জেলেস ব্যানার নিয়ে
চক্কর দেয়।


বাংলাদেশ প্যারেড মার্শাল হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব জনাব শাইখ সিরাজ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন চিফ গেস্ট সিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারব জে ওয়েসন ও গ্র্যান্ড
স্পন্সার মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী। বাফলার এ প্যারেডে বৃহত্তর সংগঠন হিসেবে ছিলো
ক্যালিফোর্নিয়া জালালাবাদ এসোসিয়েশন ও মুসলিম উম্মা অফ নর্থ আমেরিকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল,
সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন অংশ নেয় । অনেকে বাক্তিগত ভাবেও অংশ নেন।  এ
অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে বাঙ্গালীর মিলন মেলায় । চতুর্দিকে ছিল উৎসবের আমেজ। সবার ব্যবহার ছিল
সৌহার্দ্য পূর্ণ। এ যেন একখন্ড বাংলাদেশ ।


আকর্ষণীয় তিনটি ফ্লোড স্পন্সার করেন, হক ফাউন্ডেশন, ওমেন্স অরগানাইজেশন এর পক্ষে ড্যানী
তৈয়ব ও গ্র্যান্ড স্পন্সার মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী। অন্যবারের মত লস এঞ্জেলেস পুলিশ
ডিপার্টমেন্টও এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। আরো অংশ গ্রহন করে মিস মেক্সিকো ইউএস,
ভারগিল স্কুল ড্রামলাই, লং বিচ জুনিওর কনসার্ট ব্যান্ড , বিএনপি সহ অনেক সংগঠন।
বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন, রইস ভূইয়া। এছাড়া মূল মঞ্চে বক্তব্য
রাখেন, শাইখ সিরাজ ও রইস ভূইয়া। লস এঞ্জেলেস মেয়রের পক্ষে শাইখ সিরাজকে এ্যাওয়ার্ড
সির্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ সময় মোয়াজ্জেম হোসেন, বশির আহমেদ ও বিদ্যাপ্রকাশ থেকে
প্রকাশিত  বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন শাইখ সিরাজ। মঞ্চে নৃত্য ও
গান সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো ব্যাপক চোখে পড়ার মত। এ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন শিল্পী
মৌসুমি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি শেষ হলেও সব বাঙ্গালির মনে রঙ লেগে আছে রঙ্গিন বাঙ্গালিয়ানায়।