লস এঞ্জেলেস

মহামারিতে অর্ধেকেরও বেশি খুচরা ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা


মহামারি করোনায় সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুচরা ব্যবসাগুলো। এমন অবস্থা আরও বেশ কিছুদিন চলতে থাকলে অর্ধেকেরও বেশি খুচরা ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনটাই  জানা গেছে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিপেনডেন্ট বিজনেস এর এক জরিপে।

কার্লোস ম্যারিকুইন বিগত পনের বছর ধরে নিউহল সকার শপ চালাচ্ছেন। এবং এটাই তার সব সম্বল। তিনি বলেন, আমি এতটা আতঙ্কে কখনো থাকিনি। আমি টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছি। জানি না তা পারব কি না।

ম্যারিকুইন আরও বলেন, কেউ এখন সকার খেলছে না। কেউ প্র্যাক্টিসও করছে না। দোকানটি ২০০৫ সাল থেকে চলছে। আমরা শুধু ব্যবসার জন্য ব্যবসা করছি না। এমনটা নয় যে আমরা এখানে সেখানে দোকান খুললাম ও গুটিয়ে গেলাম।

সান্তা ক্লেরিটায় ম্যারিকুইন এর এই সকার শপ বন্ধ  হলে তা এখানকার কমিউনিটির জন্যই বড় ক্ষতি।

লস এঞ্জেলেসের মধ্যভাগে চিয়ারা আরোয়া অ্যান্ড সেলেনে নাভারাট্টা একই রকম উদ্বিগ্নতায় আছেন। তারা স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার বই বিক্রি করেন বাচ্চাদের জন্য। দোকান ভাড়া পরিশোধের জন্য তাদের ঋণ করতে হয়েছে। তারা বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কীভাবে ব্যবসা চালাব জানি না। 

কানেকটিকাটের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হেভেনের বিজনেস অব কলেজের ডিন ব্রায়ান টি কেনেচ বলেন, মহামারির সময় যত বাড়বে তত আমরা দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠার পরিকল্পনা  ‘ভি’ শেপ  থেকে দূরে সরে যাব। আমাদের ‘ইউ’ অথবা ‘এল’ শেপে মনোযোগী হতে হবে।

ছোট ছোট ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্য একটি কারণ হচ্ছে অনলাইন কেনাকাটায় জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর তৎপরতা। এতে বিধিনিষেধ মেনে কিছু ব্যবসা চালানোর অনুমতি দিলেও তারা ভালো করতে পারছে না। কারণ সাধারণ মানুষ অনলাইনেই প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হওয়ায় তারা বাইরে যেতে ঝুঁকি নিচ্ছে না।


/এলএ বাংলা টাইমস/এন/এইচ