লস এঞ্জেলেস

ভবিষ্যতে গ্রেফতারের জন্য সংগ্রহ হচ্ছে ভাঙচুর ও লুটপাটের ফুটেজ


ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স আন্দোলনের অসৎ ফায়দা লুটছে অনেকে। প্রতিবাদের নামে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে চলছে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। লস এঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআই এসব ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করছে যাতে অপরাধীদের শনাক্ত ও ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা যায়।

 লস এঞ্জেলেসে ইতোমধ্যে ২ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে পুলিশ বলেছে এতেই তারা থেমে থাকবে না। অন্যদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বিভিন্নভাবে অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভিডিও ফুটেজের ওপর।

এফবিআই সোমবার জানিয়েছে তারা লুণ্ঠন কাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে চেষ্টা করেছে। তাই যারা সহিংসতা উসকে দিচ্ছে তাদের শনাক্ত করতে সারাদেশ থেকে ছবি ও ভিডিও আহ্বান করা হচ্ছে। তবে এতে নিরপরাধ ও সাধারণ প্রতিবাদকারীর ভুলভাবে আইনে হস্তগত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লস এঞ্জেলেস কাউন্টি পাবলিক ডিফেন্ডার্স ইউনিয়ন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিখিল রামনিই। তিনি বলেন, এতে ফেসিয়াল রিকগনাইজেশন ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদেরও শনাক্ত করা হতে পারে।

আন্দোলনে অন্যায়ভাবে পুলিশদের চড়াও হওয়ার ফুটেজও খুঁজে বের করা উচিত বলে জানান  স্পিচ, প্রাইভেসি অ্যান্ড টেকনোলজি প্রজেক্টের সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট জয় স্টেনলি। তিনি বলেন, পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের অন্যায় আচরণের এমন অসংখ্য ফুটেজ রয়েছে।

নগরীর বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা এরইমধ্যে পুলিশকে এ ধরনের কিছু ফুটেজ দিয়েছে। লস এঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেই এসব ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হবে।


এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ