লস এঞ্জেলেস

ট্রাম্পের পেশীশক্তির জবাব দিলেন ওয়াশিংটন মেয়র


কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে পুরো দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও আন্দোলন। এমন বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। আর এই আন্দোলন দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওয়াশিংটন ডিসিসহ সারা দেশে পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এবার রাজধানী থেকে এই সেনা তুলে নেওয়ার কঠোর আহ্বান জানান ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসার। আর তার এই কঠোর হুশিয়ারির কারণে মোতায়েন থাকা ও হোটেল অবস্থান নেওয়া সেনাসদস্যরা ৫ জুন রাজধানী ত্যাগ করেছে।


জানা যায়, ইউটাহ ন্যাশনাল গার্ডের দুই শতাধিক সেনাসদস্য তাঁদের ব্যাগ ৫ জুন গুছিয়ে দুপুরের মধ্যে হোটেল ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর মাইল লি অভিযোগ করে বলেন, ইউটাহ ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যসহ অন্য ন্যাশনাল গার্ডের হাজারো সেনাসদস্যকে হোটেল থেকে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসার বের করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসারের অফিস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। লির অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ইউটাহ ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা কোথায় যাচ্ছেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তাঁদের ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে যাওয়া উচিত হবে না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সেনাসদস্য ওয়াশিংটনে পৌঁছে। তাঁদের পাশাপাশি রাজধানীতে ব্যুরো অব প্রিজনস, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি, এফবিআই ও ইউএস মার্শাল বিক্ষোভ দমনে কাজ করার কথা। সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনে ৭ হাজার ৬০০ সেনাসদস্য ও কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়। সেনাসদস্যদের রাজধানী থেকে সরিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এক চিঠিতে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসার বলেন, ওয়াশিংটনে সামরিক পুলিশ এবং অন্যান্য ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের আইন প্রয়োগকারী ইউনিটগুলোর উপস্থিতির কারণে উদ্বিগ্ন। কারণ এতে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। এখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাই বিষয়টি ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম। এ কারণে ডিসির কর্মকর্তা ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সেনাসদস্য ও ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নিতে আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।মেয়র মুরিয়েল বোসার হোয়াইট হাউসের সামনের রাস্তার নতুন নামকরণ করেছেন ‘ব্লাক লিভস ম্যাটার প্লাজা’। মূলত এই স্লোগানেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের সামনের রাস্তায় হলুদ রং দিয়ে এই স্লোগান লিখে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের সম্মান জানাতেই এই নামকরণ বলে জানান ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোসার।

এলএ বাংলা টাইমস/এমবি