লস এঞ্জেলেস

বিক্ষোভের মুখেই জার্মানি থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ট্রাম্প


পুরো দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন জাতি ধর্মের লোক। ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১০ হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর অভ্যন্তরীণ এমন উত্তেজনার মধ্যেই  জার্মানি থেকে সেনা উপস্থিতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে মোতায়েনকৃত ৩৪ হাজার ৫০০ সেনার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার জনকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


হোয়াইট হাউসের এ সিদ্ধান্ত ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের অঙ্গীকারের ঘাটতির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে জার্মানিতে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমে ২৫ হাজারে দাঁড়াবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, জার্মানিসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্ররা তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করে না। এজন্য বরাবরই দেশগুলোর ওপর চাপ দিয়ে আসছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, দৃশ্যত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিদ্যমান মতবিরোধ ও উত্তেজনার ফলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কিছু করার ছিল না। এমন সময়ে সেনা প্রত্যাহারের এ নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প যার কদিন আগেই জি সেভেন সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন ম্যার্কেল।

এর আগে গত মার্চে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। হোয়াইট হাউসের মোটা অংকের অর্থের প্রস্তাবেও সায় দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। জার্মান ল্যাব কিউরভ্যাকের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ভ্যাকসিন বানালে সেটা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য বানাবে। জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবের কাছে বিক্রি হবে না তার দেশ।

কিউরভ্যাকের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হপ বায়োটেক হোল্ডিং-এর প্রধান ক্রিস্টফ হেটিচ বলেন, আমরা গোটা বিশ্বের জন্য ভ্যাকসিন বানাতে চাই, একক কোনও দেশের জন্য নয়। আর জার্মান অর্থমন্ত্রী পিটার আল্টমায়ার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জার্মানি বিক্রি হবে না।

এলএ বাংলা টাইমস/এমবি