লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়া জুড়ে এখনো বিক্ষোভ অব্যাহত


হাজার হাজার আন্দোলনকারীকে শনিবারও সান ফ্রান্সিসকো, স্যাক্রেমেন্টো, সিমি ভ্যালি, সান দিয়াগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভে জমায়েত হতে দেখা গেছে। পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে তারা প্রতিবাদ ও শোক কর্মসূচি পালন করে আসছেন।


সান ফ্রান্সিসকোতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ  রোডেরিক সুয়েনি(৪৯)। এত মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেখে তিনি অভিভূত বলে জানান। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল জর্জ ফ্লয়েডের প্রতিচ্ছবি ও  ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার লেখা বিভিন্ন ব্যানার।

রোডরিক বলেন, আমরা পরিবার ও বন্ধুরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি। বুঝতে পেরেছি শ্বেতাঙ্গরা যদি না বদলায়, তারা আমাদের সঙ্গে এক না হলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। 

তবে আন্দোলনে অনেক সাদারাও যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রোডেরিক। তিনি বলেন, তারা শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ড্যানিয়েল চেটরিট (২২) নামের এক শ্বেতাঙ্গ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের নির্মম হত্যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সারাবিশ্বে মানুষ বর্ণবৈষম্যের কারণে নির্যাতিত হচ্ছে। আমাদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

লস এঞ্জেলেস, হলিউডেও বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তুলতে থাকে। তাদের মতে, রেভ্যুলশন, নাথিং লেস। অর্থ্যাৎ বিপ্লব ছাড়া তারা কিছুই ভাবতে পারছে না।

সান দিয়াগোতে তিন হাজারের বেশি মানুষ ডাউনটাউনে জড়ো হয়। তারা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দিকে আন্দোলন করতে করতে এগুতে থাকে। সিমি ভ্যালিতে রাস্তায় প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করে। এতে স্বাভাবিক ট্রাফিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়। 

হানটিংটন বিচেও পুলিশ অফিসাররা আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলে। তবে আন্দোলনে বিশৃঙ্খলার ঘটনা প্রথম কিছুদিনের তুলনায় একেবারেই কমে গেছে। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছে। 


/এলএল/ বাংলা টাইমস/এন/এইচ