লস এঞ্জেলেস

ড্যানিয়েল হারনেনডাজ হত্যার স্বাধীন তদন্তের দাবি পরিবারের



ড্যানিয়েল হারনেনডাজ হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা কাউন্টি কাউন্সিল ও এটর্নি জেনারেলের কাছে এই দাবি করেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন পরিবারটি।  


৩৮ বছর বয়সী ড্যানিয়েল হারনেনডাজ লস এঞ্জেলেস পুলিশের একজন অফিসারের গুলিতে মারা যান। সান পেট্রোর নিকটে হিস্ট্রিক সাউথ-সেন্ট্রালের ৩২ নম্বর স্ট্রীটে তাকে গুলি করে পুলিশ। একই সময়ে ওই জায়গায় একটি গাড়ি সংঘর্ষ হয়। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার হলেন টনি ম্যাকব্রাইড। টনি ম্যাকব্রাইড পুলিশ ইউনিউয়ন ডিরেক্টার ও লস এঞ্জেলেস পুলিশ অফিসার জেমি ম্যাকব্রাইডের মেয়ে। 


পুলিশ বলছে, হারনেনডাজের কাছে একটি বক্স কাটার ছিলো। টনি ম্যাকব্রাইড তাকে ছয়টি গুলি করে হত্যা করে। লস এঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এই ঘটনায় তদন্ত করছে। তবে এই তদন্ত সুষ্ঠু হবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হারনেনডাজের পরিবার।   

সংবাদ সম্মেলনে হারনেনডাজের বড় বোন মারিনা হারনেনডাজ ভারগারা সিটি কাউন্সিল ও এটর্টি জেনারেলের কাছে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তারা নিজেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না’।  

এই সময় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিরা কালো মাস্ক পড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। তারা এই হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেন। ম্যকব্রাইডকে সহযোগিতা বন্ধ করতে লস এঞ্জেলে পুলিশ ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ করেন। 

হারনেনডাজের পরিবার এই হত্যার বিচার দাবি করে লস এঞ্জেলেস পুলিশ ও টনি ম্যাকব্রাইডের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছেন।পুলিশ ডিপার্টমেন্টে জেমি ম্যাকব্রাইডের প্রভাবের কারণে তদন্ত সুষ্ঠু হবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন হারনেনডাজের পরিবার। অবশ্য পুলিশ ডিপার্টমেন্ট  এই দাবি গ্রহণ করেনি। 

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনটির উদ্যোগ নেয় লস এঞ্জেলেস লাতিন কোয়ালিশন। তারা হারনেনডাজ ও আন্দ্রে গুয়ারডাডু হত্যার ন্যায় বিচারের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান।জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর থেকেই সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশি নির্যাতন বন্ধে ‘ডিফান্ড দ্য পুলিশ’ আন্দোলন জনপ্রিয় হচ্ছে। 

গারডানার একটি অটোশপের কাছে গুয়ারডাডুকে শেরিফ ডিপার্টমেন্টের একজন ডেপুটি গুলি করে হত্যা করে। 

ব্লাক লাইভস মেটার শুরু থেকে তাদের পাশে রয়েছে। সংগঠনটি হারনেনডাজ হত্যার স্বাধীন তদন্ত ও গুয়ারডাডুর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিকে সমর্থন করেন। 

ব্লাক লাইস মেটারের একজন সক্রিয় কর্মী জর্জ একিলি বলেন, প্রথমে ওই পরিবারকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা সহযোগিতা করবো। এই লড়াইয়ে আপনারা একা নন। আমরাও আছি। 


এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর