লস এঞ্জেলেস

করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে নভাভ্যাক্স পেলো সর্বোচ্চ $১.৬ বিলিয়ন



যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের জন্য নভাভ্যাক্স কোম্পনির সাথে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। যা এখন পর্যন্ত ফেডারেল সরকারের সর্বোচ্চ অর্থ বাজেটের চুক্তি। নভাভ্যাক্স ম্যারিল্যান্ড ভিত্তিক একটি বায়োট্যাক কোম্পানি। মঙ্গলবার করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ এই চুক্তির ঘোষণা করেছে।  

নভাভ্যাক্স কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্ট্যানলি এরিক বলেন, ‘এর মাধ্যমে এটা বুঝা যায়, ভ্যাক্সিন আবিষ্কার নিয়ে তারা কতটা ভরসা করছেন আমাদের ওপর।’ এরিক আশা করছেন আগামী বছরের প্রথম ভাগে তারা বাজারে ভ্যাক্সিন ছাড়তে পারবে।  

তবে শুধু নভাভ্যাক্স নয়। এর আগে তিনটি কোম্পানির সাথেও চুক্তি হয়েছে ফেডারেল সরকারের। তিনটি কোম্পানি হলো- এস্ট্রাজেঙ্কা, মডের্না, জনসন এন্ড জনসন। 

এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার চুক্তির ফলে নভাভ্যাক্স ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করতে পারবে। অগ্রিম উৎপাদন করতে পারবে। এরিক বলছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই একশ মিলিয়ন ডোজ প্রদান করতে পারবে তার কোম্পানি।   

নভাভ্যাক্স ভ্যাক্সিন করোনাভাইরাসের ক্ষুদ্র একটি অংশ নিয়ে তৈরি হবে। যাকে বলে ‘স্পাইক পরশন’। যা করোনাভাইরাসের ওপরে থাকবে। এর লক্ষ্য হবে এমিউন সিস্টেম যেন মনে করে ওই ‘স্পাইক’টাই প্রকৃত ভাইরাস। এর ফলে ইমিউন সিস্টেম প্রতিক্রিয়া করবে ও প্রকৃত ভাইরাসকে আক্রামণ করবে। এরিক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের ভ্যাক্সিন প্রচুর এন্টিবডি তৈরি করে ইমিউন সিস্টেমে যথাযথ প্রতিক্রিয়া করবে। নভাভ্যাক্স একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে ইবোলো, ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপেরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাসের ক্ষেত্রেও।  

এরিক খুবই আশাবাদী। তাদের ভ্যাক্সিন টিম দিন রাত কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘সকলেই বুঝতে পারবে আমাদের কাজের গুরুত্ব।’ এর আগে জুনে নভাভ্যাক্স ইউএস আর্মির সাথেও চুক্তি করে। ১০ মিলিয়ন ডোজ প্রদানের জন্য ৬০ মিলিয়ন ডলার চুক্তি করে তারা। এছাড়াও ৩৮৮ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সিইপিআই) থেকেও।   

হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ এর লক্ষ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে কার্যকর ও নিরাপদভাবে আমেরিকানদের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ প্রদান করা।

এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর