লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসে করোনায় আক্রান্তের ৪৮ শতাংশ যুবক



লস এঞ্জেলেসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকের বয়স আঠারো থেকে চল্লিশের মধ্যে। অল্প বয়সী নাগরিকদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজে ও বাইরে বের হবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায় লস এঞ্জেলেস পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট।  

পাবলিক হেলথ ডিরেক্টার বারবারা ফেরার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমানে আমরা যে জায়গায় আছি তা দুই, তিন, চার, সপ্তাহ পূর্বের থেকে ভিন্ন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। আর এটা হলো অধিক মাত্রায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রতিচ্ছবি।’

তিনি বলেন, আঠারো থেকে চল্লিশ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্ত সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা ভাইরাস অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছে। জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিলো ১৫,৪২৭ কিন্তু তা বেড়ে বর্তমানে ২৭,৪৫৫ জনে। যা প্রায় ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি। এখন কাউন্টির মোট আক্রান্তের আটচল্লিশ শতাংশ মানুষ কম বয়সী।’ বৃদ্ধদের মধ্যে রেসপেরেটরি জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। তবে এই সংখ্যা যুবকদের মধ্যেও বেড়েছে। কাউন্টিতে ১৯২১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি। এদের ২৮ শতাংশ আইসিওতে এবং ১৮ শতাংশকে ভেন্টিলেটার দেওয়া হয়েছে।  

বর্তমান সপ্তাহগুলোতে অধিক মানুষ বাইরে বের হয়েছেন। এই জন্য আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেরার সাউথার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে বলেন, ‘এপ্রিলের শুরুতে লস এঞ্জলেসের ৮৬ শতাংশ মানুষ সারাক্ষণ বাসায় থাকতেন। কিন্তু সোমবারে তা ৫৮ শতাংশে নামে। মানুষের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপ্রিলে যা ছিলো ৩১ শতাংশ তা বর্তামানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। 

এটা স্পষ্ট অনেক দিন ধরে মানুষ কোয়ারিন্টিনে ছিলো। যা আমাদের ভাইরাসের বিস্তার রোধে সহয়তা করছিলো। কিন্তু বেশ কিছু সেক্টর খোলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মানুষ ওই নিয়ম গুলো আর মানছেন না। ফেরার বলেন ‘এটা চলতে দেওয়া যাবে না।’ 

কাউন্টি কর্মকর্তারা বেশকিছু সেক্টর পুনরায় খোলে দিয়েছেন। কর্মস্থলগুলো লস এঞ্জেলেসে করোনাভাইরাস ছড়ানোর নতুন কেন্দ্র হচ্ছে। ৪৩ শতাংশ মানুষ যাদের চাকরী রয়েছে তাদের অন্য মানুষের সাথে খুব কাছ থেকে মিশতে হয়। আর এটা তাদের করতে হয় প্রতিদিন। 

সোমবার লস এঞ্জেলেসে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৪৮ জন এবং আক্রান্ত হন ১৫৮৪ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১১৬,৫৭০ জন এবং মারা গেলেন ৩৫৩৪ জন। 

ফেরার বলেন, 'আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে না চলি। তবে এটা আমদের এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখান থেকে আমরা আর ফিরতে পারবো না। আমরা এখন যা করবো তাই নির্দেশ করবে কয়েক সপ্তাহ পর আমরা কোথায় থাকবো। যত শিগগির আমরা একে অন্যের যত্ন নিবো, তত শিগগির আমরা নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবো। আমরা কাজে, স্কুলে, বন্ধুদের কাছে যেতে পারবো।’

এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর