লস এঞ্জেলেস

২০২১ সালের মাঝ পর্যন্ত করোনা থাকতে পারে, বললেন মেয়র



চার মাসের অধিক সময় ধরে ক্যালিফোর্নিয়া করোনাভাইরাস মহামারির ধ্বংস সহ্য করে যাচ্ছে এবং লস এঞ্জেলেস মেয়র এরিক গারসিটি এর থেকে বের হবার পরিকল্পনা করছেন। ‘করোনাভাইরাস মহামারি ২০২১ সালের স্প্রিং ও সামার পর্যন্ত থাকবে’ এই ভেবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন লস এঞ্জেলেস মেয়র এরিক গারসিটি। 

মেয়র বলেন, আমি গত সপ্তাহে এক জন ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেন এটা যদি বেসবল খেলা হয় তাহলে আমরা দ্বিথীয় ইনিংসের শেষে আছি। এটা আমাদের আঘাত করেছে। আমার মনে হয় আমরা দ্রব্যের বিল বিক্রি করছি। যেমন মানুষ বলে আমরা খুব দ্রুত ভ্যাকসিন পাচ্ছি এবং দ্রুতই এই থেকে মুক্তি পাচ্ছি।’ 

কিছু মানুষ মনে করতে পারেন এই কঠোর মনোভব দুর্বল করছে। কিন্তু মেয়র বলেন, এটা সিটিকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে দিচ্ছে। যেমন খুব দ্রুত ও নিরাপদভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে নেওয়া। 

মেয়র এরিক গারসিটি বলেছেন লস এঞ্জেলেসে করোনা ঝুঁকি ওরেঞ্জ লেভেলে রয়েছে। যার মানে হলো মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে এবং যতটা সম্ভব অন্যের সাথে দেখা সাক্ষাৎ কম করা। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এই পর্যবেক্ষণ ১৪ দিন বন্ধ রাখা। যখন স্টেট থেকে বলা হবে স্কুল খোলতে। কিন্তু এটা ঝুঁকিপূর্ণ।’

ক্লাস রুমে শিক্ষকদের সুরক্ষা নিয়ে লস এঞ্জেলেস ইউনিফাইড স্কুল ডিসট্রিক্ট ও লস এঞ্জেলেস ইউনাইটেড টিচার্স ইউনিয়নের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ফল সেমিস্টারে কিভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করা হবে এটা নিয়ে তাদের এখনও চুক্তি করার বাকি রয়েছে।  

মেয়র বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আমরা যদি করতে পারি তাহলে দেশে এমনকি বিশ্বে আমরা প্রথম হিসেবে করবো। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো যাবে। তাই আমরা এতে ভালো করবো। আমরা স্কুল ডিস্ট্রিক্টকে যেকোনো সহযোগিতা করবো।’

নিকট ভবিষ্যতে মেয়রের জন্য আট লক্ষ ত্রিশ হাজার লস এঞ্জেলেসবাসী সব চেয়ে চিন্তার বিষয় হবে। যারা ফেডারেল সরকারের কেয়ারস এক্ট থেকে বেকার সুবিধা পেতো। যদিও কংগ্রেস দ্বিথীয় প্রণোদনার প্যাকেজের কথা বলছে।  

‘এর ব্যয় বহন করার মতো অর্থ কোনো স্থানীয় কমিউনিটির নেই। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ায় কিভাবে বেকার সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় সে চেষ্টা আমরা করছি। মেয়র বলেন, এটা ওয়াশিংটনের দায়িত্ব। যদি তারা এটা না করে তাহলে আমরা যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করবো। কিন্তু এতে বিপদ রয়েছে।’ 

এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর