লস এঞ্জেলেস

গরম ও শুষ্ক ঝড়ো বাতাসে আরো তীব্র হবে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল!

ক্যালিফোর্নিয়ায় চলছে সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের মৌসুম। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যটিতে। এখনো ক্যালিফোর্নিয়ার বারোটির বেশি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দা।


এই বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে আরো দুঃসংবাদ দিয়েছে লস এঞ্জেলেস আবহাওয়া দপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, নরদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার আবহাওয়ায় কুখ্যাত 'দিয়াবলো উইন্ডস (গরম ও শুষ্ক ঝড়ো বাতাস)' এর উপস্থিতি দেখা গেছে।  ফলে রাজ্যজুড়ে দাবানলের পরিস্থিতি আরো তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। 

এদিকে, সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্টের ক্রিক ফায়ার। ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস সুপারভাইজার ডিন গোল্ড জানিয়েছেন, ক্রিক ফায়ারের কারণে এখন পর্যন্ত এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ অঞ্চলটিতে তীব্র বাতাসসহ বৈরি আবহাওয়ার কারণে কিছুতেই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি ফ্রেসনো কাউন্টির জন্য খুবই অপ্রত্যাশিত ব্যাপার৷ 

এলএ ফায়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানলের কারণে ফ্রেসনো কাউন্টি ও মাদেরার প্রায় সব রাস্তা এবং ট্রেইলস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হেলিকপ্টার সহযোগে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে লেক এডিসন ও চায়না পিক অঞ্চল থেকে পঞ্চাশজন বাসিন্দাকে হেলিকপ্টার সহযোগে উদ্ধার করা হয়েছে। 

তাছাড়া জেন্ডার রিভিল পার্টির আতশবাজি থেকে শুরু হওয়া এল দরেদোর দাবানলও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার একর জমি দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের একান্ত চেষ্টায় সাত শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে এলএ ফায়ার৷ 

ক্যালিফোর্নিয়ায় চলমান আরেকটি উল্লেখযোগ্য দাবানল ববক্যাট ফায়ারের আয়তনও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুত বাড়ছে দাবানলের আগুন।

দাবানলের কারণে চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে স্টানিসলাস ন্যাশনাল ফরেস্ট, সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্ট, সেকুয়া ন্যাশনাল ফরেস্ট, ইনিও ন্যাশনাল ফরেস্ট, লস পাদরেস ন্যাশনাল ফরেস্ট, অ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল ফরেস্ট, সান বারনার্দিনো ন্যাশনাল ফরেস্ট ও ক্লিভল্যান্ড ন্যাশনাল ফরেস্ট। দাবানলের ঝুঁকির কারণে এসব বনভূমি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু অঞ্চলের এক লাখ বাসিন্দার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এলএবাংলাটাইমস/ওএম