লস এঞ্জেলেস

প্রস্তাবনা ২৩: স্বাস্থ্যসেবায় উভয় সংকট

বরাবরের মতোই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি নিজ রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভোট দিবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। বিভিন্ন রাজ্যের ও কাউন্টির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই নাগরিক জনমত গ্রহণকে বলা হয় প্রস্তাবনা ভোট। সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ব্যালটেই বিভিন্ন প্রস্তাবনা ভোট যুক্ত করা হয়। এবারের নির্বাচনে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কামালা হ্যারিস ১২টি প্রস্তাবনা যোগ করেছেন। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে এই ১২টি বিষয়ে বাসিন্দাদের 'হ্যাঁ' অথবা 'না' ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবনাগুলো পাশ অথবা বাতিল হয়ে যাবে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আবাসন, ট্যাক্স, ভোটাধিকার ও স্বাস্থ্যবিষয়ে জনমত নেওয়া হবে। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রস্তাবনাকে বলা হচ্ছে প্রস্তাবনা ২৩।  প্রস্তাবনা ২৩ এর মূল বিষয়: প্রস্তাবনা ২৩ মূলত কিডনি ডায়ালাইসিস বিষয়ক প্রস্তাব। এই প্রস্তাবনা অনুসারে, কোনো রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস চলাকালে সেখানে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স অথবা ফিজিশিয়ান এসিস্ট্যান্ট উপস্থিত থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ডায়ালাইসিস করা হবে৷ এছাড়াও রাজ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিকগুলো তাদের পরিসেবা সীমিত করতে পারবে না। পাশাপাশি রোগীর আয়ের উৎস বিবেচনা করে সেবা থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা কোনো ক্লিনিক। হ্যাঁ ভোটে প্রস্তাবনা পাশ হলে কী হবে? হ্যাঁ ভোটের মাধ্যমে এই প্রস্তাবনা পাশ হলে ক্রোনিক ডায়ালাইসিস ক্লিনিকগুলোতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সবসময় ডায়ালাইসিসের সময় উপস্থিত থাকবে। না ভোটে প্রস্তাবনা বাতিল হলে কী হবে? না ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবনা ২৩ বাতিল হয়ে গেলে ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস এর সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রয়োজন পড়বে না। প্রস্তাবনা ২৩ এর সুফল কী? প্রস্তাবনা ২৩ পাশ হলে ক্লিনিকগুলোতে পরিচ্ছন্নতা বাড়বে। সেইসাথে ক্লিনিকগুলোতে মানসম্মত কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ হবে, ফলে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে। সেইসাথে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাসিন্দার অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে সেবাবঞ্চিত করা হবে না। প্রস্তাবনা ২৩ এর অসুবিধা কী? আমেরিকান নার্স এসোসিয়েশন ক্যালিফোর্নিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া মেডিকেল এসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি, প্রস্তাবনা ২৩ পাশ হলে অনেক ডায়ালাইসিস ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে প্রায় ৮০ হাজার কিডনি সমস্যাগ্রস্থ রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত হবে৷ পাশাপাশি ক্লিনিকগুলোর খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তার ও কর্মী সংকট দেখা দেবে। এলএবাংলাটাইমস /ওএম