লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ম্যুারাল উদ্বোধন

লস এঞ্জেসে লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘লিটল বাংলাদেশ প্রজেক্টের’ জাতীয় স্মৃতিসৌধের ম্যুারাল উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ম্যুরাল উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও লিটল বাংলাদেশ বিউটি ফিকেশন প্রজেক্টের আহ্বায়ক কাজী মশহুরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লস্কর আল মামুন।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে লাল ফিতা কেটে ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর বাবুল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ খান।
বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্রেটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক বাচ্চু। তিনি কমিউনিটির সকলকে আগামীতে সকল জাতীয় দিবসগুলোতে এই স্মৃতিসৌধের সামনে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পালন করার আহ্বান জানান । তিনি বলেন, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি গঠন করে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এর যাত্রা শুরু হোক।

ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোহেল রহমান বাদল বলেন, ‘লিটল বাংলাদেশ অর্জনের ১০ বছর পর লিটল বাংলাদেশ বিউটিফিকেশন প্রজেক্টের সৃষ্টিশীলতা দ্বিতীয় অর্জন।’

ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্রেটিক পার্টির সভাপতি মোহম্মদ শামিম হুসাইন বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধর ম্যুারাল নতুন প্রজন্ম ও মূলধারার মানুষের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরার একটি ক্ষেত্র। এটি দেশাত্মবোধের একটি অন্যতম প্রয়াস।

ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি নেতা ফারুক হাওলাদার বলেন, যাদের পরিকল্পনায় এই বিউটি ফিকেশন প্রজেক্ট গড়ে উঠেছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টি জাহান কাজল বলেন, আজকের দিনটি একটি গর্বের দিন, চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে দিনটি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন কোরিয়ান অপেরা শিল্পী এস্তেহার জিন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রপ্ত করে পরিবেশন করেন এবং ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। তাকে প্রশিক্ষণ দেন সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক শাহনাজ বুলবুল।

সৌজন্য আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল তারিক মোহাম্মদকে। তিনি অপারগতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এজন্য এ কারণে কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। প্রবাসীরা বলছেন, প্রবাসে কমিউনিটির মানুষ যেখানে জাতীয়তাবোধের অনুভূতি থেকে লিটল বাংলাদেশ তথা দেশ ও জাতির ইতিহাস এবং কৃষ্টিকে তুলে ধরার জন্য অপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হয়েও কমিউনিটির সাথে একাত্ম হয়ে সমর্থন প্রদর্শন না করা দুঃখজনক।    এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এলএ