লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসে ডেল্টার প্রভাবে ৭ দিনে আক্রান্ত ১০ হাজার

লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রূপ মারাত্নক আকার ধারণ করেছে। মার্চের পর আবারো সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে৷ লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে গত সাতদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পরেছে যারা টিকা গ্রহণ করেনি, তাদের উপর। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা করোনার এই উর্ধ্বগতি দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বাসিন্দারা সতর্ক না হলে সংক্রমণের ঢেউ থামাতা হিমশিম খেতে হবে। সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে সপ্তাহে গড়ে ১০১ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। গত জুন মাসের ১৫ তারিখের পর গড়ে ১২ জন বেশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সূত্র মতে, এতো বেশি সংখ্যক সংক্রমিত হওয়ার মানে হলো উচ্চ হারের কমিউনিটি স্প্রেডিং হচ্ছে। লস এঞ্জেলস কাউন্টিতে এই সপ্তাহ থেকে পুনরায় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সেই সাথে রাজ্যের আরো ১০টি কাউন্টি তাদের বাসিন্দাদের ইনডোরে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান। কাউন্টিগুলো হচ্ছে: সান ফ্যান্সিস্কো, স্যাক্রামেন্টো, ইয়েলো, ফ্রেস্নো, আলামেডা। কন্ট্রা কোস্টা, মারিন, সান মাতেও, সান্তা ক্লারা ও সোনোমা। এর পাশাপাশি বার্কলি শহরও ইনডোরে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছে। কাউন্টিগুলোর মোট জনসংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের সমান। যারা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন, ইনডোর পাবলিক প্লেসে তাদেরকেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে৷ এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নির্দেশনা অনুসারে মাস্ক ব্যবহার করতে প্রয়োজন বোধ করছেন না। মেন্ড আর্জেন্ট কেয়ারের সিইও ড. এন্থনি কার্ডিলো বলেন, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।‘ তিনি জানান যে মাস্ক ব্যবহারের এই নির্দেশনাটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর না হলে আবারো আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন হতে পারে। কার্ডিলো বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহারের আদেশটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হলে আমাদেরকে আবার লকডাউনে ফিরে যেতে হবে না।‘ তিনি আরো জানান, যারা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন, করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও কোনো প্রকার লক্ষণ দেখা তাদের মধ্যে দেখা যাবে না। কিন্তু তারা অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। কার্ডিলো বলেন, ‘টিকা নিলে আপনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হবে না। কিন্তু টিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে না। ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হলো মাস্ক ব্যবহার করা।' এলএবাংলাটাইমস/ওএম